এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তীর্থরেণু
পাহাড় কোলে কুজ্ঝ্বটিকা ঘুমিয়ে প’ল আজ,
শীষ দিয়ে ঐ নীল পাখীটি ডুবলো পাতার মাঝ!
কঠিন ঠোঁটে গাছের বাকল কোন্ পাখী কাটে,
কাঠ্বিড়ালীর ‘চিড়িক্’ ‘চিড়িক্’ শব্দে কান ফাটে;
কালো বাদুড় মাকুর মতন সাঁঝের জাল বোনে,
ফলন্ত গাছ নুয়ে কথা কয় মাটির সনে!
হাওয়ার কোলে মিলিয়ে গেল এক্লা চীলের ডাক,
বৃষ্টি এসে পড়্ল ব’লে,—আয় গো নাচা যাক্।
বসন্তের প্রত্যাবর্ত্তন
কিরণে ঝলমল অগাধ নীলজল,
নীল কমল তায় ফুটেছে;
বনের পথ ধরি’ চলেছে সুন্দরী,
নীল কমল হেরি’ ছুটেছে।
ঝাপ্সা ঝোপে ঝাপে ব্যথিত বায়ু কাঁপে,
পিচের শাখে শাখে পাতার সূচী;
ঝাউয়ের মৃদু ছায়া রচিছে কিযে মায়া
ছড়ায়ে বন পথে সোনার কুচি!
নীল কমল লখি’ চলে কমল-সখী,
বন বিজন, ভিজা ভেষজ ঘ্রাণ;
৫৫