পাতা:তীর্থ-ভ্রমণ কাহিণী (চতুর্থ ভাগ) - গোষ্ঠ বিহারী ধর.pdf/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ8 Ν তীর্থ-ভ্ৰমণ কাহিনী । gb পরিচালিত হইয়া থাকেন। এই নয়ীমূৰ্ত্তি খোদিত প্ৰস্তরখণ্ডখানি দৈর্ঘ্যে ১২ হস্ত ও প্রন্থে অনুন ৬ হস্ত পরিমাণ দেখিতে পাওয়া যায়। সন। ১৩০৭ সালে যখন আমরা এখানে আসিয়াছিলাম, সেই সময় এখানি এখানকার শ্ৰীমন্দিরের উপরিভাগ হইতে নিম্নে প্রশস্ত ভূমে-বিচ্যুত অবস্থায় ছিল ; তখন ইহার সম্বন্ধে অবগত হইয়াছিলাম, একদা কতকগুলি পুরাতত্ত্ববিৎ ইংরাজ পুরুষ, এই প্ৰশস্ত শিলাখণ্ডখানির অদ্ভুত কারুকাৰ্য্য দর্শনে মুগ্ধ হইয়া বহু অৰ্থ ব্যয়সহকারে, অতি কষ্টে বাষ্পীয় কলের সাহায্যে নির্দিষ্ট স্থান হইতে ইহাকে বিচু্যত করাইয়া এখানি কলিকাতার যাদুঘরে রাখিবার মনস্থ করেন, কিন্তু তৎকালে নানা স্থানের হিন্দুগণ একত্র হইয়া ইহাতে আপত্তি উত্থাপন করিলের্তাহারা ক্ষুব্ধমনে সেই অবস্থাতেই উহার মায়া পরিত্যাগ করিয়া স্বস্থানে প্ৰস্থান করেন । বৰ্ত্তমান কালে মন্দির সংস্কার সময়, ইহা আবার স্বস্থানে স্থাপিত হইয়া বড়লাট কার্জন বাহাদুরের মহিমা প্ৰকাশ করিতেছে। চন্দ্ৰভাগা বা পদ্মক্ষেত্র-পুণ্যস্থান অবগত হইয়াও যে স্থানে কখন জনমানবের সমাগম হইত না, আজ শান্বদেবের কৃপায় সেইস্থানে মেলা উপলক্ষে শত সহস্ৰ যাত্রী একত্রিত হইয়া শ্ৰীহরির উদ্দেশ্যে সংকীৰ্ত্তনে মত্ত হইয়া নির্বিঘ্নে মনের আনন্দ প্ৰকাশ করিয়া থাকেন। এইরূপে ষষ্টীর সমস্ত রাত্রি একভাবে অতীত হইলে, পরদিবস ম্যাকরী সপ্তমীর প্ৰত্যুষে ভক্তগণ-ভানুদেবের প্রথম উদয়ে তাহার পুর্ণকলেবর দর্শন করিয়া আপনাপন মহাব্ৰত উদযাপন করিয়া থাকেন। আহা ! এই মহান দৃশ্য যিনি একবার দর্শন করিয়াছেন, ইহজন্মে তিনি কখন উহা ভুলিতে পরিবেন না। প্ৰভাতে সাগর তীরে বিচরণ করিবার সময় স্থানীয় নিৰ্ম্মল বায়ু সেবন