পাতা:তীর্থ-ভ্রমণ কাহিণী (চতুর্থ ভাগ) - গোষ্ঠ বিহারী ধর.pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 তীর্থভ্ৰমণ কাহিনী । সূৰ্য্যদেব মন্দিরের কিম্বদন্তী। শ্ৰীকৃষ্ণপত্নী জাম্ববতী দেবীর গর্ভে শাম্ব নামে এক কন্দৰ্প সদৃশ রূপবান পুত্র জন্মগ্রহণ করেন। রূপগর্বে গর্বিত হইয়া তিনি সতত। অহঙ্কার করিতেন, এমন কি এই রূপের নিমিত্তই তিনি সকলকে অভক্তি করিতেন। একদা নারদঋষি হরিপ্রেমে মত্ত হইয়া হরিগুণগান করিতে করিতে যখন এই শান্বদেবের নিকট দিয়া গমন করিতেছিলেন, ঋষিবরের সেই জটাজুটধারী বিকট আকৃতি দেখিয়া তিনি র্তাহাকে ব্যঙ্গ করিলেন, শাম্বদেবের ব্যবহারে, অসন্তুষ্ট হইয়া নারদ র্তাহাকে শাস্তি দিবার মানসে শ্ৰীকৃষ্ণের নিকট গমন করতঃ নানা কথাচ্ছিলে নিবেদন করিলেন, “প্রভো ! অদ্য আপনার পত্নীদিগের সহিত আপনার প্রিয়পুত্র শাম্বের যেরূপ ঘনিষ্টতা দর্শন করিলাম, তাহাতে সহজেই কু-ভাব উদয় হয়।” অন্তৰ্য্যামী ভগবান নারদঋষির অপমান অন্তরে অবগত হইয়া দুঃখিত মনে মৌনাবলম্বন করিলেন। কারণ যে হরি কখন কাহারও দর্প রাখেন না বলিয়া দৰ্পহারী নাম গ্ৰহণ করিয়াছেন, তখন কি তিনি শাম্বের দর্পচূৰ্ণ না করিয়া স্থির থাকিতে পারেন ? কিয়ৎকাল পরে একদা শ্ৰীকৃষ্ণ যখন পত্নীগণসহ রৈবতক পৰ্ব্বতে মৃগয়ার্থ গমন করিয়া এই পৰ্ব্বতের সন্নিকটস্থ চন্দ্ৰভাগ নামক নদীতে মনের সুখে উন্মত্তভাবে সেই পত্নীগণের সহিত জলবিহার করিতেছিলেন, নারদঋষি পূর্ব অপমানের প্রতিশোধ লইবার উপযুক্ত অবসর পাইয়া, শাম্বের নিকট গমন পূর্বক বলিলেন, “বৎস! তোমার পিতা রৈবতক পৰ্ব্বতে মৈত্রবনে মৃগয়া করিতে গিয়াছেন, আমার দ্বারা তোমায় তথায় । যাইতে অনুরোধ, করিয়াছেন {” সরল হৃদয় শান্বদেব নারদের চাতুরী