পাতা:তীর্থ-ভ্রমণ কাহিণী (চতুর্থ ভাগ) - গোষ্ঠ বিহারী ধর.pdf/২৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R O 8 তীর্থ-ভ্ৰমণ কাহিনী । হইতে বহুদূর রাজপুতানার এই মরুপ্রান্তরে হরিনাম সঙ্কীৰ্ত্তন হয়, हेठू७ ख्झि दिश्ध्र ठूछेछ । রাজপুতদিগের বাঙ্গালী পুরোহিত কিরূপে হইল প্ৰথমেই এ বিষয় জানিবার জন্য র্তাহাদিগকে অনুরোধ করাতে যে উপদেশ পাইলাম, পাঠক সমাজে তাহাই সংক্ষেপে প্ৰকাশ रवि তেছি-আমাদের অনুরোধে র্তাহারা সন্তুষ্টচিত্তে সকলকে বুঝাইয়া দিলেন যে, বাঙ্গলার শ্ৰীৰূপ ও দ্রা সনাতন গোস্বামী মহাশয়ের বংশধরেরাই জয়পুরের কঠোর রাজপুতকে বাঙ্গলার কোমল মধুর হরিনাম শিক্ষা দিয়াছিলেন। চৈতন্যশিষ্যসনাতন গোস্বামী শ্ৰীবৃন্দাবনধামে জীবাটৰীতে শ্ৰীমদনমোহন বিগ্ৰহ মূৰ্ত্তি আবিস্কার ও প্রতিষ্ঠা করিবার পর,শ্ৰী রূপ গোস্বামী শ্ৰীবৃন্দাবনে যোগপীঠ নামক স্থানে শ্ৰীগোবিন্দ-বিগ্ৰহ-মূৰ্ত্তিটা আবিস্কার করিয়া প্ৰতিষ্ঠা করেন। অম্বরের রাজা মানসিংহ বঙ্গ-বিজয়াভিপ্ৰায়ে যাত্ৰাকালীন পধিমধ্যে বৃন্দাবনে শ্ৰীগোবিন্দজীউর বিগ্ৰহমূৰ্ত্তি দর্শন করিয়া-লীলাময়ের ইচ্ছায় তিনি গোবিন্দপ্রেমে মুগ্ধ হইলেন, এরূপ প্ৰেমময় শ্ৰীমূৰ্ত্তির তেমন কোন প্ৰকার উল্লেখযোগ্য সুন্দর মন্দির না থাকায়, মহারাজ মানসিংহ নিজাব্যয়ে ভগবানের অবস্থানের নিমিত্ত মনের মত একটা ভুবন-বিখ্যাত মন্দির নিৰ্ম্মাণ করাইয়া আপন কীৰ্ত্তি স্থাপিত করেন, এক্ষণে বৃন্দাবনে যে লালপ্রস্তর নিৰ্ম্মিত মন্দির, যাহার শিখরদেশটিী ভগ্নাবস্থায় দেখিতে পাওয়া যায়, যে মন্দিরের অভ্যন্তরে বারাণ্ডার কারুকাৰ্য অদ্যাপি দৰ্শন করিলে মোহিত হইতে হয়, যে মন্দির বৃন্দাবনে “প্রাচীন গোবিন্দমন্দির” নামে খ্যাত, ঐ অপূর্ব মন্দিরটাই, রাজা মানসিংহ নিৰ্ম্মাণ করাইয়া ভগবানের নামে উৎসর্গ করিয়াছিলেন। এই সুত্ৰে শ্ৰীৰূপ গোস্বামীর সহিত অম্বর রাজাদিগের পরিচয়। কথিত আছে। এই মন্দির চুড়া এত উচ্চ ছিল যে বাদশাহ ঔরঙ্গজেব একদা তাহার আগ্ৰাপ্রাসাদ হইতে