পাতা:তীর্থ-ভ্রমণ কাহিণী (চতুর্থ ভাগ) - গোষ্ঠ বিহারী ধর.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮ তীর্থভ্রমণ-কাহিনী। এক্ষণে মহিষী মহারাজের কাৰ্য্যকলাপ দৰ্শন করিয়া মনে মনে অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হইলেন। এদিকে কৰ্ম্মসুত্ৰ প্ৰজাপতির আজ্ঞায় রাণীর সহায় হইল, ইচ্ছাময়ের ইচ্ছা ব্যতীত কোন বিষয় সম্পন্ন হয় না। একদিকে নারদখষি প্ৰাণপণে চেষ্টা করিতে লাগিলেন, যাহাতে গৌরাষ্ট রাজার পুত্রের সহিত বিবাহ না হয়, অপরদিকে কৰ্ম্মসুত্রে মহিষীর সহায় হইয়া উক্ত রাজপুত্রেরই সহিত বিবাহের স্থির হইল ; এই প্রকারে তাহদের উভয়ের মনের মধ্যে যুদ্ধ চলিতে লাগিল । ইহার ফলে মহিষী বুদ্ধিবলে রাজার চেষ্টা ব্যর্থ করিবার জন্য স্বীয় কন্যার একখানি অলেখ্যসহ আপন অভিপ্ৰায় প্ৰকাশ করিয়া অতি গোপনে গৌরাষ্ট্ররাজার পুত্রের নিকট প্রেরণ করিলেন। রাজপুত্র সেই श्रद्ध ब्राङौव्र नानाथकांद्र ऐ९श्नांश दारुJ थांब्र७ ८ोदन श्रद्धांत्र cश्ङ् রাজ-কন্যার অপরূপ রূপলাবণ্যে মুগ্ধ হইয়া তাহার প্রস্তাবে সন্মতি প্ৰদান করিলেন । অপরদিকে হাস্যদ্বীপাধিপতি বিবাহের দিন সমাগত দেখিয়া স্বীয় সৈন্যসামন্তে পরিবেষ্টিত হইয়া পুত্রের সহিত জম্বুনোদ্বীপাধিপতি রাজা চন্দ্ৰশেখর ভবনে অতি সমারোহে বিবাহের জন্য শুভযাত্ৰা করিলেন। তখন নারদর্থবির আনন্দের সীমা রহিল না ; তিনি একবার পাত্র ও একবার পাত্রীর বাটীতে গমনাগমন করিতে লাগিলেন। যথাসময়ে বিবাহ দিবসে হান্তৰীপাধিপতি সদলে রাজা চন্দ্ৰশেখরের রাজধানীতে উপস্থিত হইলেন। বলা বাহুল্য তঁহাদের শুভাগমনে মহারাজ চন্দ্ৰশেখর অত্যন্ত সন্তুষ্ট হইয়া স্বীয় রাজধানীর প্রান্তভাগে অভ্যর্থনাপূর্বক বিশ্রামস্থান নির্দেশ করিয়া দিলেন। বিশ্রামের পর হাস্তদ্বীপাধিপতিসহ সকলেই জঘুনাম্বীপের মনোমুদ্ধিকর স্থান সকল পরিদর্শন করিতে লাগিলেন। অপরাহ্নকালে তিমিরবসনে অবগুণ্ঠণবতী হইয়া সন্ধ্যাসতী পৃথিবীতে