এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তীর্থ-সলিল
গৌরব আমি খুঁজেছি, পেয়েছি প্রিয়ার নয়ন মাঝে,
কীর্ত্তি-ছটার প্রধান রশ্মি তারি চাহনিতে আছে;
যখনি সে আঁখি উজ্জ্বল হয় চাহিয়া আমার পানে,
আমি মনে জানি সেই ভালবাসা, কীর্ত্তি সে—জানি প্রাণে।
বায়রণ।
দিবা স্বপ্ন।
তীর হ’তে দূরে সাগরে যে শিলা জাগে,
তা’রি ‘পরে বসি’ দিবসে স্বপন দেখি;
হু হু করে হাওয়া, সাগরের পাথী ডাকে,
ঘুরে ফিরে ঢেউ শিলায় শিলায় ঠেকি’।
ভালবেসেছিনু কত এ জীবনে, আহা,
সুন্দর শিশু কত গো বন্ধু কত;
কোথা তা’রা? হায়, হাওয়া শুধু করে ‘হা—হা’,
ফেণমুখী ঢেউ ধায় পাগলের মত।
হায়েন্।
যৌবন ও বার্দ্ধক্য।
জগৎ যে সুখ হরণ করে তা’ ফিরে আর দিতে নারে,
কিশোর ভাবের অরুণিমা, হায়, ক্ষয় সে অন্ধকারে;
কপোল কেবলি হয় না পাণ্ডু যৌবন যবে যায়,
মনের পেলব কুসুম-সুষমা তা’রো আগে টুটে, হায়!
৯৯