এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তীর্থ-সলিল
সমীর! গোপনে আমার কথাটি বলিয়া এস হে তায়,
জানাও আমার মরমের জ্বালা তা’রে শত জিহ্বায়;
তেমন করিয়া বল না যাহাতে বেদনা সে মনে পায়,
নানা বারতার মধ্যে আমার কথাটি জানায়ো, হায়।
* *
মরণের বাণ জীবন-দেউল যখন করিবে চূর্ণ,
সেই মুহূর্ত্তে জীবন-পাত্র ভরিয়া হইবে পূর্ণ!
তখন হাফেজ! সতর্ক থেকো, যবে ল’য়ে যাবে তুলি’
জীবন-গৃহের সব তৈজস ক্রমশঃ কালের কুলি।
* *
নদীতীরে যেয়ো মদিরা-পাত্র সাথে লয়ে,—যদি পার,
প্যান্পেনে যত কুনোদের ছেড়ে দূরে থেকো, ভাল আরো;
এমন সাধের জীবন মোদের দিন দশ বই নয়,
তাজা বুকে হাসি মুখে থাকা ওগো তাইত উচিৎ হয়।
* *
গোপনে গোলাপ-মুকুল রয়েছে তোমায় দেখে,
সরমে চামেলি রয়েছে হোথায় মুখানি ঢেকে;
গোলাপের কলি কোথা পাবে হায় অমন কায়া?
যে রবির রূপে রূপসী সে,—তাহা তোমারি ছায়া!
* *
তোমার বিরহে তপ্ত অশ্রু গলিছে বাতির মত,
পেয়ালার মত গোলাপী আঁথিয় জল ঝরে অবিরত;
১৬৭