এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তীর্থ-সলিল।
পাখ্না-গজানো সর্প-শিশুর গরলে হইনু ক্ষীণ!
জননী হাসিয়া কহেন “বালক!
মধুপের হুল যদি ভয়ানক,
তবে যারে তারে ব্যথা কেন দাও বাণ হানি’ নিশি দিন?”
আনাক্রেয়ন্।
যৌবন-মুগ্ধা।
যখন আমি ঘোম্টা তুলি নয়ন ‘পরে,
পাণ্ডুর হয় গোলাপগুলি ঈর্ষ্যা ভরে;
বিদ্ধ তাদের বক্ষ হ’তে ক্ষণে ক্ষণে,
ক্রন্দনেরি ছলে মধুর গন্ধ ক্ষরে!
কিম্বা, যদি সুগন্ধি কেশ আচম্বিতে
এলায়ে দিই মন্দ বায়ে আনন্দেতে,
চামেলি ফুল নালিশ করে ক্ষুণ্ন মনে,
গন্ধটি তা’র লুকায় চুলের সুগন্ধিতে!
যখন আমি দাঁড়াই একা মোহন সাজে,
এম্নি শোভা হয় যে, তখন অম্নি বাজে,
শতেক শ্যামা পাখীর কণ্ঠে কলস্বনে
বন্দনা গান, স্পন্দন তুলি’ কুঞ্জমাঝে!
জেবুন্নিসা।
৩৫