পাতা:তৃণাঙ্কুর - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃণান্ধুর Տ Գ পড়ে ক্লান্ত ও রুদ্ধশ্বাস চেতনাকে চাঙ্গা করে নিতুম। এখনও মনে পড়চে সেই ছোট টেবিলটা তার ডায়ারটা, ডাইনে কাঠের পার্টিসনটা সেই রোকড় খতিয়ানের স্তুপ, ফাইলের বোঝা । কাল বৈকালে এক বেড়াতে বার হয়েছিলাম, কারণ কাল সকালের বম্বে মেলে প্রমোদবাবু হাওড়া ফিরলেন। আমি তাকে তুলে দিতে গিয়েছিলাম। একজন হিন্দুস্থানী ভদ্রলোকের সঙ্গে ট্রেনে আলাপ হোল, তার বাড়ী খড়গপুর তিনি মন্তিকাকাকে চেনেন। বালুম, মন্তিকাকার কাছে আমার নাম বলবেন। তারপর বৈকালে এক বার হলাম। South Tiger Gap Road দিয়ে পাহাড়ের ওপর উঠে একটা মুক্ত জায়গায় শাকোর ওপর বসলাম। সামনে ধু ধু প্ৰান্তর, দূরে দূরে শৈলশ্রেণী—বায়ে সাতপুৱা, ডাইনে রামটেকের পাহাড় ও মানসারের ম্যাঙ্গানিজের পাহাড় অস্পষ্ট দেখা যাচ্চে। একটু পরে সুৰ্য্য ডুবে গেল, পশ্চিম দিগন্তে কত কি রঙ ফুটুল। আমার কেবলই মনে আসতে লাগিল ঐ শ্লোকটা-“প্রস্থিতা দূরপন্থাণং’- শ্লোকের টুকরাটার নতুন মানে এখানে বসেই যেন খুঁজে পেলাম। ভাবলাম আমার উত্তর পূব কোণে, আরও অনেক পেছনে কাশী ও বিন্ধ্যাচল, মুজাপুর ও চুণার পড়ে আছে—পশ্চিম ঘেসে প্ৰাচীন অবন্তী জনপদ-পূর্বে প্ৰাচীন দক্ষিণ কোশল, সামনের ঐ নীল শৈলমালা—যার অস্পষ্ট সীমারেখা গোধূলির শান্ত ছায়ায় অস্পষ্ট দেখা যাচ্চে-ঐ হোল মহাভারতের কিংবা নৈষধ চরিত্যের সেই ঋক্ষবাণ, পর্বত। এই যেখানে বসে আছি, এখান থেকে পঞ্চাশ মাইলের মধ্যে অমরাবতীর কাছে পদ্মপুর বলে গ্রামে কবি ভবভূতির জন্মস্থান। এ সব প্ৰাচীন দিনের স্মৃতি জড়ানো প্ৰান্তর, অরণ্য, শৈলমালা, দিগন্তহীন মালভূমির গম্ভীর মহিমা, এই রকম সন্ধ্যায় নির্জনে বসলেই মনকে একেবারে অভিভূত করে দেয় । পূর্বে চেয়ে দেখি হঠাৎ কখন পূৰ্ণচন্দ্ৰ উঠে গেছে। তারপর জ্যোৎস্না শোভিত Tiger Gap Roald-এর বনের ধার দিয়ে শহরে ফিরে এলাম । শরতের রাত্রের হাওয়া বন্য শিউলির সুবাসে ভারাক্রান্ত ও মধুর। LawLLLLLL LLLLLLLLSLLLB BDD BE BK BDBBD BBBDBDYDBDDOD BBDBD ছোকরার সঙ্গে দেখা-তারা আমায় বাংলোর কাছে পৌছে দিয়ে গেল। আমি ওখান থেকে চলে গেলাম সীতা বলডির বাজারে ঘড়ির দোকানে। সেখানে রেডিওতে কলকাতা Short wave ধরেচে, বাংলা গান বাজ চে