পাতা:তৃণাঙ্কুর - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ა თ8 তৃণান্ধুর আমি ভগবানকে উপলব্ধি করতে চাই। এই তার লক্ষ বিরাট রূপের মধ্য দিয়ে । এবার মোটে বৃষ্টি নেই-পথঘাট এখনও শুকনো খটখাটে, অন্যাবার এমন সময় খানা ডোবা জলে ভরে যায়, কুঠার মাঠের রাস্তায় কাদা হয়। তবে এবার সোদালি ফুল যেন কমে আসচে, বেল ফুলের গন্ধেরও তেমন জোর নেই । কাল বিকেলে পাচী এসেচে। সে, আমি, খুকু, রাণু, মায়। ন’দি ক’জনে কাল বসে কালিদাসের মেঘদূত ও কুমার-সম্ভবের চর্চা করেচি। বিকেলে আমি কুঠার মাঠে বেড়াতে গেলাম। ঘাটে স্বান করতে এসে দেখি ওরা সবাই ঘাটে-খুকু ও রাণু সাতার দিয়ে গিয়েচে প্ৰায় বাধালের কাছে। আমি স্নান সেরে উঠে আসচি, কালো তখন গেল শিমূল তলাটার কাছে। আমি বল্লম, তোর মা ঘাটে তোকে ডাকচে । সে যাই” বলে একটা বিকট চীৎকার ক’রে চলে গেল। একটু পরে দেখি খুকু আমায় ডাকচে-বঁাশবন প্ৰায় অন্ধকার হয়ে এসেচে-ও ঘাট থেকে আসবার সময় বোধ হয় অন্ধকার দেখে ভয় পেয়েচে । আমি দাড়িয়ে ওকে সঙ্গে করে নিয়ে এলুম। আজ ওবেলা স্নানের সময় মনে কি যে এক অপূর্ব ভাব এসেছিল ! প্ৰতিদিনের জীবন এই মুক্তরূপ প্ৰকৃতির মধ্যে সার্থক হয় এখানে—এই সব ভাবে ও চিন্তার ঐশ্বৰ্য্যে । আজ অনেক কাল পরে ন’দির কাছ থেকে গৌরীর হাতের লেখা একখানা গানের খাতা পেয়েচি। এতদিন কোথায় এখানা পড়ে ছিল, বা কি ক’রে ন’দির হাতে এল—তার কোনো খবর এরা দিতে পারলে না । Appropriately enough, *TV5f3 2|*{R १ोंनछेि श८ष्5 ঐ নীল উজ্জল তারাটি করুণ, অরুণ তরুণ কিরণ অমিয় মাখানো হাসিটি বহুদূর জগতে গিয়েছে গো চলি প্ৰণয়বৃন্ত ছিড়িয়া ভালবাসা সব ভুলে গেছে। • • • • • চৌদ্ধ পনেরো বছর আগের এমনি ধারা কত উজ্জল রৌদ্রালোকিত প্ৰভাত, বর্ষায় কত মেঘমেদুর সন্ধ্যার কথা মনে আনে। • • • যাক। কাল আকাশে হঠাৎ বৃশ্চিক নক্ষত্র দেখেচি—একে প্ৰথম চিনি বেল পাহাড়ের ষ্টেশনে-পরিমল আমাকে চিনিয়ে দেয়-আমি ওটা চিনতাম না । কাল দেখি শ্যামাচরণ দাদাদের বঁাশ ঝাড়ের মাথার ওপর বিরাট ওর