পাতা:তৃণাঙ্কুর - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S obr তৃণান্ধুর কতদূরে। কিন্তু ১৯২৩-২৬ সালের পরে ঠিক এ ধরণের বেদন মাখানো নিঃসঙ্গতার অনুভূতি আর কখনো হয়নি। আমি এই মনের অবস্থা জানি, চিনি একে-এ আমার পুরাতন ও পরিচিত মনোভাব, কিন্তু ১৯২৬ সালের পরে ভুলে গিয়েছিলাম। একে-আবার সেই ফিরে এল। কাল আবার খুব আনন্দ পেয়েচি। মনের ও ভাবটা কাল আর ছিল না। বিকেলে আমরা কঁাচিকাটার স্কুলের পথে অনেকদূর পর্য্যন্ত বেড়াতে গেলাম। নীল মেঘে সারা আকাশ জুড়ে ছিল-কাল স্নান করে ফিরবার পথে শিমূল গাছটার ওদিকে আউশ ধানের ক্ষেতের ওপরকার নীল আকাশ দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম-অমনি মনের ভাব বিকেলেও হয়েছিল। আরামডাঙার ওপারে সেই খাব রাপোতার দিকের আকাশে একটা নীল পিঙ্গল বৰ্ণ-শ্ৰী, সুৰ্য্য বোধহয় অস্ত যাচ্ছিল, আমরা কিন্তু পেয়ারা গাছটা খুঁজে পাচ্ছিলাম নাআমি আর কালো কত খুঁজলাম, আরামডাঙার পথে মরগাঙের ধারে সেই পেয়ারা গাছটা যে কোথায় গেল ! সন্ধ্যার কিছু আগে কুঠার মাঠে একটা ঝোপেঘেরা নতুন জায়গার আবিষ্কার করা গেল-এদিকটায় কখনো আসিনি-এমন নিভৃত স্থানটা, খুব আনন্দে নদীতে সাঁতার দিলাম। এবার বারাকপুরে চমৎকার ছুটীটা কাটল । সমস্ত ছুটীটাই তো এখানে BDBBD SS DBDDB DBDB qgBLBB SDDSDSD SDD DBBL DDDJYDBBBB S BDD বেশীদিন। এবার এখান থেকে কোথাও যাইনি। এখান থেকে যেতে মনও নেই। কলকাতার জীবনটা যেন ভুলে যেতে বসেচি। কাল বিকেলে ঘন কালো মেঘ করে বৃষ্টি এল। আমি আর কালো বৃষ্টিমাথায় বেলেডাঙ্গার পুল পৰ্য্যন্ত বেড়াতে গেলাম। ঝোপঝাপ ভিজে কেমন হয়ে গিয়েচে-গাছপালার গুড়ির রং কালো-ডালপাত থেকে জল ঝরে পড়ার শব্দ। তারপরে নদীর জলে স্নান করুতে নােমলাম-সাতার দিয়ে বাধালি পৰ্য্যন্ত গেলাম। সাতার দিয়ে এত আনন্দ পাইনি কোনোদিন এবারকার গরমের ছুটীর আগে। কুঠীর মাঠের একটা নিভৃত স্থানে চুপ করে খানিকক্ষণ দাড়িয়ে রইলাম-মাথার ওপর কালো মেঘ উড়ে যাচ্চে—দিক থেকে দিগন্তব্যাপী বিদ্যুতের শিখা-শুধু চারিদিকে বৃষ্টির শব্দ, -গাছে পাতায়, ডালপালায়, ঝোড়ো হাওয়া বইচে-নির্জন প্ৰান্তরের মধ্যে