পাতা:তৃণাঙ্কুর - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V) তৃণান্ধুর সবাই। কিন্তু কে মন দিয়েচে ওদিকে-কে ভাবচে এই অপূর্ব, অবাচ্য, অভাবনীয়, অদ্ভুত স্বষ্টির কথা !-মানুষের অভিধানে যাকে বর্ণনা করবার শব্দ নেই । q<s voisir q°ic- \soici ! Sir Oliver Lodge, Flammarin, Jeans, রবীন্দ্রনাথ, Swinurn এদের নাম করা যায়। রামকৃষ্ণের কথায় “এদের ফাৎনাতে ঠোকরাচ্চে” । আনন্দ ! আনন্দ ! “আনন্দাদ্ধেব খলু ইমানি সর্বানি ভূতানি জায়ন্তে” কাল প্ৰবাসীতে “পথের পাচালী’র কয়েকটি অধ্যায় পড়া হোল । ডাঃ কালিদাস নাগ ও সুনীতিবাবু উপস্থিত ছিলেন, আরও অনেকে ছিলেন। সকলেই ভারী উপভোগ কল্লেন, এইটাই আমার পক্ষে আনন্দের বিষয় । এ বইখানার আর্ট অনেকেই ঠিক বুঝতে না পেরে ভুল করেন, দেখে ভারী আনন্দ হোল সজনীবাবু কাল কিন্তু ঠিক আর্টের ধারাটা আমার বুঝে ফেলেচে । আর্টকে বুদ্ধির চেয়ে হৃদয় দিয়ে বুঝতে চেষ্টা কল্পের্ক বোঝা যায় বেশী। এবার বাড়ী গিয়ে গত শনিবারে অনেকদিন পরে কি আনন্দই পেলুম। মটর লতা, কাঠবেড়ালী, নাটাফুল-বর্ষাসরস লতাপাতার ভরা সুগন্ধ। কাল প্রবাসী থেকে গিরীনবাবুর বাড়ী, সেখান থেকে বিন সাহেবের কাছে অনেকদিন পরে। বেশ দিনটী কাটুলো । বিভূতির সঙ্গেও দেখা । আজ সকালে উঠে অনেকদিন পরে ইসমাইল।পুরের সেই কীৰ্ত্তনের গানটা মনে পড়ল “ --যাত রহি” শেষ দুটো কথা ছাড়া আর আমার কিছু মনে নাই, অথচ, গানের ভাবটা আমি জানি। ভারী আনন্দ হােল আজি মনে। শুধুই মনে হচ্ছিল জীবনটাকে আমরা ঠিক চোখে অনেক সময় দেখতে শিখিনে বলেই যত গোল বাধে। জীবন আত্মার একটা বিচিত্র, অপূর্ব অভিজ্ঞতা। এর আস্বাদ শুধু এর অনুভূতিতে। সেই অনুভূতি যতই বিচিত্র হবে, জীবন সেখানে ততই সম্পূর্ণ, ততই সার্থক। সেইদিক থেকে দেখলে দুঃখ জীবনের বড় সম্পদ, দৈন্য বড় সম্পদ, শোক, দারিদ্র্য, ব্যর্থতা বড় সম্পদ, মহৎ সম্পদ। যে জীবন শুধু ধনে মানে সার্থকতায়,