পাতা:তৃণাঙ্কুর - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छ्नांडूद्र Σ Σώ. utility-টা গৌণ। মাঝি গল্প করছিল এবার অনেকে ইছামতীতে মুক্তা পেয়েছে ঝিনুক তুলে। এসময়ে বন্যে বুড়ো গাছেও শাল মঞ্জরীর মত দেখতে সবুজ রং-এর ফুল ফুটেচে-আর একপ্রকার জলজ ঘাসের নীল ফুল ফুটেচেএর রং ঠিক তিসির ফুলের মত নীল। এক একটা ছোট গাছের মাথায় ছোট ঝোপে-ঐ ক্ষুদে ক্ষুদে অজানা ফুল ফুটে আলো করচে। কাল রাত্রে কি একটা কথা মনে এল— তার শব্দ পরম্পরায় মনে একটা অপূর্ব অনানুভূত ভাবের উদয় হোল। শব্দেরও ক্ষমতা আছে। প্ৰমথবাবু বল্লেন, নেই, এই নিয়ে প্রমথ চৌধুরীর সঙ্গে একদিন তর্ক করেছিলাম। আজ সকালে উঠে দেখি আকাশ একেবারে নিৰ্ম্মেঘ, নিৰ্ম্মল। দুঃখ হোল এই ভেবে যে আমিও বারাকপুর থেকে এলাম আকাশও গেল পরিষ্কার হয়ে ! আজ এই জন্যে মনটা কেমন খারাপ হয়ে গেল-বারাকপুরে এমন নীল আকাশটা দেখতে পেলাম না!! খুকুর গাওয়া সেই সেদিনকার গানটা বার বার भgन उभाग0ठ ब्लi१ल মোর ঘুম ঘোরে এলে মনোহর নমোনমঃ, নমোনমঃ, নমোনমঃ কাল কলকাতা থেকে এসোচি । বেশ ভাল লাগল। আজ সকালে খয়রামারির মাঠ ও বন । বনে সাদা সাদা সেই কুচো ফুল-শীতকালে অজস্র ফোটে এদেশের বনে জঙ্গলে-নদীয়া ও যশোর জেলার সর্বত্র দেখেচি এসময়ে। কলেজে পড়বার সময় যখন প্ৰথম প্ৰথম মামার বাড়ী যেতাম--তখন ভবানীপুরের মাঠের ও দিকের পথ দিয়ে যাবার সময়ে দেখতাম একটা বড় ঝোপে। ওই ফুলটা ফুটে থাকত। কোলা এসেছিল আমার সঙ্গে আমার বাসায়-এক সঙ্গে বাক্স, বিছানা বেঁধে বাসা থেকে রওনা হলাম। অনেকদিন পরে ওকে দেখে মনে বড় আনন্দ পেয়েছি। কাল । বড়দিনের ছুটীতে অনেককাল বারাকপুরে আসিনি—এবার এলাম। শীতের পল্লীপ্রান্তের কি শোভা, তা এতদিন ভুলে ছিলাম। বিকেলে আজ যখন বেলেডাঙ্গা বেড়াতে গেলাম-বনের কোলে সর্বত্র ফুটন্ত ধুরফুলের প্ৰাচুৰ্য্য ও শোভা দেখে মনে হােল, সেদিন মনি বােসের আড্ডায় যারা বলছিল যে, বাংলাদেশের বনে ফুল তেমন নেই, তারা বাংলাদেশ সম্বন্ধে