পাতা:তৃণাঙ্কুর - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃণান্ধুর ΣΣ δο ভগবান তাঁর পূজো না পেলে প্রতিহিংসা-পরায়ণ হয়ে ওঠেন না-ওঁর পুজোর সঙ্গে ভয়ের কোনো সম্পর্ক নেই – তার যে পূজে, সে শুধু প্রেমের ও ভক্তির, এই পাড়াগায়ে এদের সে কথা বোঝানো শক্ত। পূজোর ঘরে বসে আজ ওবেলা যখন শালগ্রাম পূজো করছিলাম, তখনই আমার মনে হোল, এই ঘরের বদ্ধ ও অমুক্তির পরিবেষ্টনীর মধ্যে ভগবান নেই, তঁাকে আজ বিকেলে খুজিবো সুন্দরপুরের কিংবা নতিডাঙ্গার বঁাওড়ের ধারে মাঠে, নীল আকাশের তলায়, অস্তবেলার পাখীদের কলকাকালীদের মধ্যে। তাই ওখানে গিয়ে বসেছিলাম । বসে বসে। কিন্তু আজমাবাদেব কথা মনে এল। এই পৌষ মাসে ঠিক এই সময়ে আমি সেখানে যৌতুম, ঠিক এই বিকেলে BJL S SBDBJJDD S BDDS S DDD S DBuD LLS S S BDBDBD S S SJYkDJD SB বটেশ্বরনাথ পাহাড়ের এপারে যেতৃেম ঘোড ছুটিয়ে বেড়াতে-কলাইক্ষেত থেকে ক’লাইয়ের বোঝা মাথায় মেয়েরা আসতো, গঙ্গার বুকে বড় বড় পাল তুলে নৌকা চলে যেত মুঙ্গেরের দিকে, ভীমদাসটোলায় আগুনের চারিধারে বসে গামেব লোকে গল্পগুজব করতো। ফিরবার পথে বাধের ওপর ওঠবার সময় দেখতুম চারিধারের মাঠ কুয়াসায় ভরে গিয়েচে-সেই ছবিগুলো মনে হল। তার চেয়ে যে আমাদের দেশের ভূমি শ্ৰী, এই নিৰ্জন শান্তিতে ভরা অপরূপ সুন্দর পল্লী প্ৰান্ত, ওই মরগাঙের শুকনো আগাডের নতুন কচি ঘাসের ওপর চরে বেড়াচ্চে যে গরুর দল, ওই দুরের বটগাছটা, মাঠের ওপারের বনফুল ফোটা বনঝোপ, এই ডাহুক পাখীর ডাক, গ্ৰামসীমার বঁাশবনএসব যে রূপের বিত্তে নিঃস্ব তা নয়, বরং আমার মনে হয় এরা বিহারের সেই বৃক্ষ লতাবিরল প্ৰান্তরের চেয়ে অনেক সমৃদ্ধতির, কিন্তু সেখানে একটা জিনিস ছিল, যা বাংলাদেশের এ অঞ্চলে অন্ততঃ নেই-Space !! Wide open space ! দূরবিন্সপী দিশ্বলয়, দূরত্বের অনুভূতি, একটা অদ্ভুত মুক্তির আনন্দএ যেমন পেয়েছিলাম ইসমাইল।পুরের দিয়ারাতে ও আজমাবাদে-আর কোথাও তা মিলবে না । আজি খুকু দুপুরে খানিকটা বসে রইল-আমি মাঠে বেড়াতে যাবে বলে গোপালনগরে গেলাম না । মরগাঙের আগাড়ে আজও অনেকক্ষণ গিয়ে বসেছিলাম। বেলেডাঙার পুলের কাছে ফিরবার পথে কি একটা বনফুলের সুগন্ধ বেরুল-খুজে বার করে দেখি কঁাটাওয়ালা একটা লতার ফুল।