পাতা:তৃণাঙ্কুর - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

di R8 তৃণান্ধুর মাঠ আর দেখবো কি না কি জানি ? আজিকার এই অপরাহু যেন চিরদিন BDBD DDYYSSiDBS DBDDS BDDS g DBDB DDD S DB BLBBBD u DBBD গঙ্গাচরণের দোকানে-সেখানে সবাই বসে দেশবিদেশের গল্প করাচে । অশ্বিনী যাত্ৰা দলের বাজিয়ে, এখানেই ঘর বেঁধে বাস করে। তার বাড়ী পূর্ণ গোঁসাই বলে একটা লোক এসেছিল-সে এখানে এসে গল্প করে* গিয়েচে যে, সে বিলেত ঘুরে এসেচে। প্ৰমাণস্বরূপ বলেচে কোথায় নাকি । প্ৰকাণ্ড পিতলের মূৰ্ত্তি সে দেখেচে-এ দ্বীপে একখানা পা, আর একটা দ্বীপে আর একখানা পা-তার তলা দিয়ে সে জাহাজে ক’রে গিয়েচে । এ একটা অকাট্য প্ৰমাণ অবিশ্যি যে সে লোকটা বিলেত গিয়েছিল । আজই যাবার কথা ছিল কিন্তু খুকু বল্পে আজি থাকুন। গত শনিবারে খুকুদের বাড়ী বারাকপুরে গিয়েছিলাম ! ও দাড়িয়ে রইল পৈঠোতে আসার সময় । সকালে গোসাই বাড়ীর পাঠশালা Examine করতে গেলাম। বোষ্টম বুড়ীর বাড়ীর সামনে বড় বটগাছের তলায় যুগল বসে কথা বলচে একজন বুদ্ধ মুসলমানের সঙ্গে । বৃদ্ধ বলচে, “আমাদের দিন পার হয়ে গিয়েচে, বেলা চারটে, এখন ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের পথ দেখাও, পথ দেখাও।” কথাটা আমার বড়ভাল লাগল। দুপুরে আটির ধারে মাঠে যেমন রোজ বেড়াতে যাই, আজও গেলাম। দুপুরের আকাশ যেমন নীল, অপরূপ নীল—এমন কিন্তু অন্য কোনাে সময়ে পাইনি। দুপুরের পরে খুকু এসে অনেকক্ষণ ছিল। তাই দুপুরে কিছু লেখা হয়ে উঠল না। বিকেলে আমি গিয়ে কুঠার মাঠে একটা নিভৃত স্থানে গায়ের আলোয়ানখানা ঘাসের ওপর বিছিয়ে তার ওপর চুপ করে বসে রইলাম। এতে যে আমি কি আনন্দ পাই ! একটা অনুভূতি হোল আজি, ঠিক সেই সময় রাঙা রোদ ভরা আকাশের নীচের গাছপালায় আঁকা বঁকা শীর্ষদেশ লক্ষ্য করতে করতে । و امر সকালে উঠে নৌকোতে আবার বনগায়ে যাচ্চি। জলের ধারে ধারে মাছরাঙা পাখী বসে আছে। নলবনে। কাটাকুমুরে লতায় থোকা থোকা সুগন্ধ ফুল ধরেচে। তবে ফুলের শোভা নেই, গন্ধই যা আছে। বড়দিনের ছুটি শেষ হোল। আবার কলকাতায় ফিরতে হবে। কে জানে, কবে। আবার দেশে ফিরতে পারব !