পাতা:তৃণাঙ্কুর - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লোক খাইয়ে বেড়ানো। কাল রাত্রে ভাল ঘুম হয়নি, গা হাত পা যেন কামড়াচে । যাক। বই বেরুবে বুধবারে। ভগবান বলতে পারবেন না যে ফাকি দিয়েচি, তা যে দিইনি, তিনি অন্ততঃ সেটা জানেন। লোকের ভাল লাগবে কিনা জানিনা, আমার কাজ আমি করেচি। ( ওপরের সব কথাগুলো লিখলুম। আমার পুরোনো কলমটা দিয়ে,-যেটা দিয়ে বইখানার শুরু হতে লেখা । শেষদিকটাতে পার্কার ফাউণ্টেন পেন কিনে নতুনের মোহে একে অনাদর করেছিলুম, ওর অভিমান আজ আর থাকতে দিলুম না। )। আজ বই বেরুল। এতদিনের সমস্ত পরিশ্রম আজ তাদের সাফল্যকে লাভ করেচে। দেখে আমি আনন্দিত। প্ৰবাসী আপিসে বসে এই কথাই কেবল মনে উঠছিল যে আজ মহালয়া, পিতৃতর্পণের দিনটা, কিন্তু আমি তিলতুলসী তর্পণে বিশ্বাসবান। নই-বাবা রেখে গিয়েছিলেন তাঁর অসম্পূর্ণ কাজ শেষ কারাবার জন্যে, তাই যদি কৰ্ত্তে পারি, তার চেয়ে সত্যতার কোনো তৰ্পণের খবর আমার জানা নেই। আজ এই নিৰ্জন, নীরব রাত্রিতে বহুদূরবর্তী আমার সেই পোড়ো ভিটার দিকে চেয়ে এই কথা মনে হোল যে তার প্রতি সন্ধ্যা, প্ৰতি বৈকাল, প্ৰতি জ্যোৎস্না-মাখ রাত্রি, তার ফুল, ফল, আলো, ছায়া, বন, নদী-বিশ বৎসর পূর্বের সে অতীত জীবনের কত হাসি কান্না ব্যথা বেদনা, কত অপূর্ব জীবনোল্লাসের স্মৃতি আমার মনকে বিচিত্র সৌন্দর্য্যের রঙে রাভীয়ে দিয়েছিল। আমার সমস্ত সাহিত্য স্বষ্টির প্রচেষ্টার মূলে তাদেরই প্রেরণা, তাদেরই সুর। আজ বিশ বৎসরের দূরজীবনের পার হ’তে আমি আমার সে পাখীডাকা, তেলাকুচা-ফুল-ফোটা, ছায়াভিরা মাটীর ভিটাকে অভিনন্দন করে এই কথাটী শুধু জানাতে চাই ভুলি নি। ভুলি নি। যেখানেই থাকি ভুলিনি-তোমারই কথা লিখে রেখে যাবো—সুদীর্ঘ অনাগত দিনের বিভিন্ন ও বিচিত্র সুরসংযোগের মধ্যে তোমার মেঠো একতারার উদার, অনাহত ঝঙ্কারটুিকু যেন অক্ষুন্ন থাকে। BDBD DDBDDD DDD BB DDS BDBBBDYDBBD SBDDBBDB DBB আমার বই রঙীন হয়েচে-কত স্থানে, কত অবস্থার মধ্যে তাদের সঙ্গে