পাতা:তৃণাঙ্কুর - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃণান্ধুর (S বকুলগাছে পাখী ডাকচে-বৌ-কথা-ক, বৌ-কথা-ক-, অমূল্য জামগাছে উঠে জাম পাড় ছিল— বুড়ী পিসিমা বল্লে, সে চারটীি জাম দিয়ে গেল, তাই এখন খাবো । আজ আবার গোপাল নগরের দলের যাত্রা হবে, এখন স্নান করে। এসে যাত্রা শুনতে যাবো । বেলা খুব পড়ে গিয়েছে—ছায়া ধূসর হয়ে এসেচে। এমন বিকাল কোথাও দেখিনি। আজ আবার ত্রয়োদশী তিথি-মেঘশূন্য সুনীল আকাশে খুব জ্যোৎস্না উঠবে। আদাড়ি বিলবিলে থেকে জল নিয়ে বাড়ী ফিরচে হরিকাকাদের বাড়ীর ওদিকের মুড়ি পথটায়। সন্ধ্যার ঠিক আগে বাল্যে কিসের শব্দটা বেরুতে, সেই শব্দটা বেরুচ্চে । মায়ের কথাই আবার মনে হয় । অনেক রাত্রে বায়ােস্কোপ দেখে ফিরলাম—ঝমােঝম বৃষ্টি, মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ চমকাচ্চে, মেঘান্ধকার আকাশ, রাস্তায় জল জমে গিয়েচে-তার মধ্যে বাসখানা কেমন চলে এল! যেন এরোপ্লেনে উড়ে সমুদ্রের ওপর দিয়ে যাচ্চি। বাইরের বারান্দাতে অনেকক্ষণ দাড়িয়ে রৈলাম-একটা Vision দেখলাম—এক দেবতা যেন এইরকম অন্ধকার আকাশপথে, তুষারবষী-হিমশূন্যে এক হাজার আলোক-বর্ষে চলেচেন অনবরত—দূর থেকে সুদূরে তঁার গতি । কোথায় যাবেন স্থিরতা নেই-চলেচেন, চলেচেন অনবরত চলেচেন, হাজার 34 crics (sizi fast, fret rif-Greatness of space. Undaunted travels of 2CC সেদিন পাচুগোপালের সঙ্গে ভগবতীপ্ৰসন্ন সেনের বাড়ী গিয়েছিলাম। ছেলেবেলাকার সে স্থানটী হয়তো আর কখনও দেখতুম না-কিন্তু আবার সেই ‘পরশুরামের মাতৃহত্যা’ যাত্ৰাটী হয়েছিল, সেটা আবার দেখলাম-যে ঘরে বসে বাবার সঙ্গে নিমন্ত্রণ খেয়েছিলাম-ভগবতীবাবু যে রোগীকে ব্যবস্থা-পত্ৰ দিয়েছিলেন কতকাল আগে আমার নয়। বছরের শৈশবে-লেখে ‘রত্নগৰ্ভ” ব’লে, সেই কথাটী মনে পড়ল এতকাল পরে। সত্যিই জীবনটা অপূর্ব শিল্প-কি বলে প্ৰকাশ করি এর গভীর অপ্রত্যাশিত সৌন্দৰ্য্য, এর নবীনত্ব, এর চারু কিমনীয়তা-আবার সেই পথটী দিয়ে