পাতা:তৃণাঙ্কুর - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ዕb” তৃণান্ধুর করচি, তার সন্ধান তিনিই জানেন, যিনি কখনো এমনি দীর্ঘ পাঁচ বৎসর ধরে গুটিকতক চরিত্র সম্বন্ধে সর্বদা ভেবেচোন।--তাদের সুখদুঃখ, তাদের আশা নিরাশা, তাদের ভবিষ্যত সম্বন্ধে দুরুদুরু বক্ষে চিন্তা করেচেন। অপুকে জন্ম থেকে ৩৪ বৎসর বয়স পৰ্য্যন্ত আমি কলমের ডগায় সৃষ্টি করেচি। তাকে ছাড়তে সত্যিকার বেদন অনুভব করাচি-তবে সেছিল অনেকখানিই আমার নিজের সঙ্গে জড়ানো, সেইজন্যে বেশী কষ্ট হচ্চে বিদায় দিতে কাজলকে, লীলাকে, দুৰ্গাকে, রাণুদিকে-এর সত্যসত্যই কল্পনাসৃষ্ট প্ৰাণী । কোনোদিকে এদের কোনো ভিত্তি নেই এক আমার কল্পনা ছাড়া । যদি দু’পাঁচজনেরও এতটুকু ভাল লাগে বই দুখানা—তবে আমার পাচ বৎসরের পরিশ্রম সার্থক বিবেচনা করবো । সত্যিই মনে পড়ে ইসলামপুর থেকে সাবোরে আসচি ঘোড়ায় ভাবতে ভাবতে-নোট কৰ্ত্তে কৰ্ত্তে । কাৰ্ত্তিক আগুন জ্বালালে সাবোরে ষ্টেশনে। সে সব জিনিস আজ শেষ হোলো ? যখন ‘‘পথের পাঁচালী’ ছাপা হয়েছিল, তখনও “অপরাজিত’ ছিল—বেশীটাই বাকী ছিল। কিন্তু আজ আর কিছু নেই। রাত্রি অন্ধকার। চাঁদ ডুবে গিয়েচে । শহরের গোলমাল থেমেচে । আমি লিখতে লিখতে বহু দূরের অন্ধকার আকাশের জ্বলজ্বলে নক্ষত্রদের দিকে চেয়ে দেখাচি-জীবনদেবতার কি ইঙ্গিত, যেন আগুনের আখরে আকাশের অন্ধকার পটে লেখা । বিদায়, বন্ধুদল,-বিদায়। আজ সকালে মহিমাবাবু এসে অনেকক্ষণ বসেছিল। তারপর স্কুল cogs cija šīfsiftvs Examiners” Meeting- 4 ckfēt, আমি ও সুনীতি বাবু দুজনে গেলাম লিবার্টি অফিসে। টমসন সাহেব সেদিন এলবার্ট হলের বক্তৃতায় “পথের পাচালী’র উল্লেখ করেচে-নীহার রায়ের মুখে শুনে একখানা কাগজ আনিয়ে নিলাম। তারপর বাসে উঠে সজনীর বাড়ী । সেখান থেকে ফিরে Sample কাগজখানা দেখা এইমাত্ৰ শেষ করলাম। স্কুলে দেবব্রত খাতা দেখাতে কাছ ঘেঁসে দাড়িয়েছে