পাতা:তৃণাঙ্কুর - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գo তৃণান্ধুর আজ বেলা চারটার ট্রেনে শ্ৰীরামপুরে গেলাম। সেখানে ‘আনন্দপরিষদের” অধিবেশনে সভাপতিত্ব কৰ্ত্তে হবে । ছেলের ওখান থেকে এসেছিল। অবনীবাবুকেও সঙ্গে নেবো বলে ডাকতে গেলাম, পেলাম না। ঝম ঝম করচে দুপুরের রোদ। কিন্তু একটু পরে বেশ মেঘ করে এল। শ্ৰীরামপুরে শ্ৰীলীলারাণী গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়ীতে নিয়ে গেল। লীলারাণী দেবী লেখিকা, “কল্লোল’ ও ‘উপাসনা’য় লেখেন । ওপারের বারান্দাতে তিনি বরফ দিয়ে সরবৎ তৈরী করে খাওয়ালেন ও জলখাবার দিলেন । র্তার সঙ্গে সাহিত্য সম্পর্কে আলোচনা করলাম। এদের বাড়ীর কাছেই খুকীর শ্বশুর বাড়ী।। একবার সাক্ষাৎ করবার ইচ্ছা ছিল। লোকও পাঠালাম-কিন্তু লোক ফিরে এসে বল্পে কারুর সঙ্গে দেখা হোল না । সভায় যখন আসচি- ওদের বাড়ীটা দেখলাম—ভাঙা দোতালা বাড়ীএকটা কয়লার গোলার পাশ দিয়ে পথ । সভার কাৰ্য্য শেষে আবার ভূরিভোজনের ব্যবস্থা । সমবেত ভদ্রলোকেরা আমাকে একটা বড়লোকের বাড়ীর দোতলায় হলে নিয়ে গেলেন-সেখানেই একটা বড় শ্বেত পাথরের টেবিলে নানারকম ফলমূল, মিষ্টান্ন, সরবৎ সাজানো। এত খাই কি কোরে ? এই তো শ্ৰীলীলাব্রাণী দেবীর ওখান থেকে খেয়ে আসচি। কে সেকথা শোনে ? আনাতোল Tr“? Procurator of Judea १ांब्रौ (2.V. Cevo, ওঁদের কাছে কলুম-রাসের বৈচিত্র্য ও quaintn( ss হিসেবে। ওরা ট্রেনে তুলে দিয়ে গেল। ট্রেনে একটা লোকের সঙ্গে আলাপ হোল— বাড়ী জিরেট বলাগড়, বিড়ি খাওয়ালে, অনেক গল্প গুজব করলে । হাওড়া ষ্টেশন থেকে হেঁটে বাসায় এলাম। পথে পানিতরের বামনদাস দত্তের সঙ্গে দেখা । আজ পয়লা মে ! একটা স্মরণীয় দিন । আজকার সভার জন্যে বা এসব আদরের জন্যে নয়-আজ ১৩ বৎসর হতে সেই ১লা মে’তে-কিন্তু সেকথা আমিই জানি, আর কেউ জানে না। জানিবার কথা ও নয়। বোলবেও না কাউকেও । বেশ হাওয়া, বাসায় এসে বারান্দায় বিছানা পেতে শুয়ে রৈলাম । আজি মনে একটা অপূৰ্ব আনন্দ পেলাম। অনেক কাল পরে ; মনে পড়ে গেল বাল্যে দুপুরে আহার সেরে এই সব দিনে বাড়ীর পেছনে বঁাশবনে মুখ ধুয়ে আসতাম। বাশবনে গিয়ে আঁচালে তবে মনে একটা আনন্দ আসতো-কত তুচ্ছ জিনিষ কিন্তু একদিন ও থেকে কি গভীর