পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লজ্জা দিয়েছিল। তাদের বাড়ীতে পায়ের ধুলো দিতে অস্বীকার করে আবার জগদীশ তাকে জব্দ করেছে।-নিজের কাছে ধরা পড়িয়ে দিয়েছে তার অন্তরের হীনতা আর দীনতা । প্ৰতাপের সঙ্গে ইতিমধ্যে সেও কয়েকবার জগদীশকে দর্শন করতে গিয়েছিল। জগদীশের শ্ৰীমুখ থেকে নানা লোকের নানা প্রশ্নের জবাবে উপদেশ ও বাখ্যা শুনে এসেছে। শুনতে শুনতে মাঝে মাঝে রোমাঞ্চ হয়েছে ললিতার । খাটি সাধক ছাড়া কি কেউ সব বিষয়ে সব কথা এমন স্বচ্ছ ও গভীরভাবে জানতে ও বুঝতে পারে, এমন সহজ সুন্দর করে বুঝিয়ে দিতে পারে ? ললিতা ঠিক করেছে- আর বোকামি করা নয়, পাকামি করা নয়। আর বিচার নয়, সন্দেহ করা নয়। এবার থেকে অন্ধ ভক্তি । কে জানে, নিজের যে বিশ্ৰী মেয়েলি খুতিটা আজও সে গোপন রাখতে পেরেছে, আলোককে টের পেতে দেয় নি যে মিলন তার কাছে প্ৰাণান্তকর অভিশাপের সমান, বিয়ের আগে যে খুতের কথা জানা থাকলে জীবনটা সে কুমারী থেকেই কাটিয়ে দিত --হয় তো জগদীশের দয়ায় সেরেও যেতে পারে সেই খুতিটা ! তাই সুদৰ্শন যে-দিন থমথমে মুখ নিয়ে এসে প্ৰায় খোচা দিয়ে বলে যে, কপাল খুলেছে তোমাদের। রবিবার সকালে উনি পদাৰ্পণ করবেন তোমাদের বাড়ীতে Σ ο Σ