পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ললিত ভাবতেও পারে না সে জগদীশের কথা বলছে । সরকারী একজন বৃহৎ ব্যক্তির পদার্পণ করার কথা ছিল তাদের বাড়ীতে-মোটে দু’দিনের জন্য ফ্লাইং ভিজিট । ঘণ্টাখানেকের একটা কাজ আছে। গুরুতর ব্যাপার, পাহাড়ী উপজাতীয় মানুষদের সঙ্গে লড়াই করার মত ব্যাপার। এমনই একটা বিশ্ৰী বীভৎস অন্যায় করা হয়েছে বুনো অসভ্য মানুষদের উপর যে তারা ক্ষেপে যেতে বাধ্য হয়েছে। বন্দুক-কামানধারী সরকারের বিরুদ্ধে তারা তীর ধনুক খাণ্ডা ঝাণ্ডা বর্শা বল্লম নিয়ে রুখে দাড়াতে বাধ্য হয়েছে। তুচ্ছ ব্যাপার! তবু সাংঘাতিক ব্যাপার!! দু’এক ঘণ্টার মধ্যে ব্যাপার বুঝে মিষ্টার দাস সবদিক সামলে রাখার সহজ সরল উপায়টা বাতলিয়ে দিতে পারবেন বটে। তার পরামর্শে বুনো মানুষগুলোকে শান্ত এবং নত করা যাবে বটে-কিন্তু ? সুদৰ্শন মিষ্টার দাসের কথা বলছে ভেবে ললিতা বিরক্তির সঙ্গে বলে, মিস্টার দাস তে রবিবার বিকেলে আসবেন । তিনি আসছেন জরুরী কাজে । তোমার কাছে তার আসাটা এমন জরুরী ব্যাপার কেন হল ভাই ? ঃ মিস্টার দাসের কথাতে আমি বলছি না । ঃ কার কথা বলছ ? ঃ তোমাদের নতুন গুরুদেবের কথা বলছিলাম। আসবেন বলেও যিনি না এসে এসে, তোমাদের তুচ্ছ করে করে; ও ! তাই বল। এমন করে তুই কথা বলিস, কি বলছিস > O R