পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গাড়ী চালিয়ে এনেছে। জিরাই। তার গায়ে মোটা নীরেট চটের মত বুনো সুতীর চাদর। সবাই ব্যাকুল হয়ে ভাবে যে এই কনকনে ঠাণ্ডায় জগদীশ উড়ানী গায়ে দিয়েছে, এটা কি বাহাদুরী দেখানে ? সুদৰ্শন সবার আগে মুখ খুলে প্রশ্ন করে, এর কোন মানে হয় ? ঠাণ্ড লেগে অসুখ করবে না ? জগদীশ হাসিমুখে তাকে অভয় দিয়ে বলে, যার কোন সুখ নেই, তার কখনো অসুখ হয় ? সকলে ভয়ে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে চেয়ে থাকে। হ্যা, একটা গুজব তারা শুনেছে বটে। রক্ত জমাট করা খাটি শীতের রাত্ৰি। বনের রাত্রিচর হিংস্র পশু পৰ্য্যন্ত আশ্রয়ে মুখ গুজে আছে। কম্বল গায়ে জড়িয়ে জগদীশ রওনা দিত হুড়, জলপ্রপাতের দিকে। বরফের মত ঠাণ্ডা পাষাণে কুয়াসা-ঢাকা পূর্ণিমার চাদের ক্ষীণ আলোয় ভীতিকর রহস্যময় প্ৰপাতের দিকে 0502 द(न थक७ ॥ একদৃষ্টি । ধ্যানীর মত, যোগীর মত, ঋষির মত। অন্য সকলে মেতে যায় জগদীশকে নিয়ে, সুদৰ্শন জিরাইকে ডেকে নিয়ে যায় নিজেদের বাড়ীতে । বুড়ো বুনো মানুষটাকে আদর করে বসায়, ষ্টেভি ধরিয়ে চা করে দেয়, খাবার খাওয়ায় । Q tr