পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবন হয় রসহীন, তিক্ত ; মরণ হয় মধুর। বন্ধুর জীবনে তেমনি একটি ক্ষণ এসেছিল। কিন্তু ইহজগতে থেকেই দিনের পর দিন ভূপীকৃত হ’য়ে ওঠা বেদনার আগুনে নিজেকে শুদ্ধ করবার আশায় মৃত্যুর সেই দুর্নিবার আকাজক্ষা সে জয় করেছিল। এ পারের ব্যর্থ সাধনায় ওপারের জীবনকে সার্থক ক’রে তুলবার জন্য সে বেঁচেছিল ব’লেই আজ এই কল্পনাতীত বেদনাৰ্ত্ত কাহিনী বলবার সুযোগ আমি পেয়েছি ; না হ’লে কোথায় কবে এক দীর্ণ আত্মা অস্বাভাবিক উপায়ে স্বাভাবিককে বরণ ক’রে নিত, নিখিল অন্তরে যার আনাগোনা তিনি ছাড়া এতটুকু আভাসও হয়ত কেউ পেত না । তার তপস্যার, তার সুতীব্ৰ সাধনার সমাপ্তি হয়ে গেছে । গেছে যাক। চোখে আমার জল আসে। আসুক। বিরাম নেই, বিচু্যতি নেই, ক্ষণিকের বিস্মৃতি নেই, সুদীর্ঘ তেরো বছরের প্ৰত্যেকটি অনুপল সে জ্বলেছে। অতল বিস্মৃতির অন্ধকারে তার বেদন ঢাকা পড়ক, স্বপ্নহীন চিরনিদ্রার কোলে তার দীর্ণ হৃদয় অনন্তকাল ঘুমিয়ে থাকুক। তার কথা ভেবে চোখের জল ফেলি, কিন্তু এ ছাড়া আমার অন্য কামনা সে বেঁচে থাকতেও छिब्ल मा । উচ্ছাস থাক, ভাল লাগে না। বেদনার সমুদ্রের পরিচয় দিতে খানিকটা ফেনা তুলে দেখিয়ে লাভ নেই, লজ্জাও করে। নাম জগদীশ-। ঢাকা সহরে আমাদের ছিল পাশাপাশি বাড়ী। কবে তার সঙ্গে বন্ধুত্বের সূত্রপাত হয়েছিল, ভুলে Sò )