পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গেছি। তার বাবা ছিলেন টাকার কুমীর না কি বলে তাই। তাদের রাজপ্রাসাদের পাশে আমাদের বাড়ীটা নিতান্ত খাপছাড়া দেখাত নিশ্চয়, কিন্তু কেন যে এই বাড়ীটা জগদীশের ভাল লেগেছিল। সেই জানে। জন্মেই মাকে হারিয়েছিল, আমার মার কাছেই তার দিন এবং রাত্রির বেশীর ভাগ সময় কাটত । বাবা তার ছিলেন ভারি ভাল মানুষ। টাকার গদীতে ব’সেও যারা তুলোর গদী ছাড়া বসবার জন্য কিছু পায় না তাদের ছোট মনে করতেন না । জগদীশ যে আমার সঙ্গে মিশত। তাতে তাকে খুন্সী হ’তেই দেখেছি। তেইশ বছর বয়স পর্যন্ত আমাদের বন্ধুত্ব জমাট বঁধিল, তারপর হ’ল ছাড়াছাড়ি। এক সঙ্গে এম, এ পাশ ক’রে আমি চাকরি নিলাম এবং একটি ছোট্ট মেয়ের জীবনের সঙ্গে বাকী জীবনটা গেথে ফেল্লাম। জগদীশ সে সব কিছু করল না, বাপের কাছ থেকে কয়েক হাজার টাকা নিয়ে মস্ত জাহাজে চেপে বসল। মনে পড়ে প্রশ্ন করেছিলাম, কি পড়তে যাচ্ছিস রে ? ছেঃ ! পড়তে নয়, বেড়াতে । যাবি ? বিয়ে করে ফেল্লাম যে ! ওই তো দোষ ! করলি কেন ? বৌদি অভিশাপ দেবে তাই, নইলে তোকে কি ফেলে যেতম রে ! পূর্ব হ’তেই স্থির ছিল বিদায়ের সময় কেউ মুখভার করতে পারব না। হাসি মুখেই কথা বলছিল, কিন্তু যখন আমার নেমে আসার সময় হ’ল চকিতে তার মুখের হাসি মিলিয়ে গেল। àR