পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোট কথাটা । প্ৰসঙ্গ পালটে গেল ? ছেলেরা পুরো জবাব পেল না ? নিজের কথা বলতে সুরু করল জগদীশ । আবার জগদীশ হাসে । : ধান ভানতে শিবের গীত গাইছি ভাবলে তো সবাই ? তার হাসি আর প্রশ্নের কায়দায় একমুহূর্তে মনের মোড় ঘুরে যায় সকলের । আবোলতাবোল কথা কি বলতে পারে জগদীশ-নিজের কথা বলা কি তার পেশা ! কী কথায় কী কথা কেন টেনে এনেছে নিজেই সে ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দেবে নিশ্চয়। : এই জিদের চেহারা হল দু’রকম। একটা চেহারা-ফ্যাকা অহঙ্কার। লোকে কি বলবে, লোকে কি ভাববে মনে করে কেঁউ কেঁউ করছে মনটা-সেটাই প্ৰকাশ পাচ্ছে লোকের কাছে বাহাদুরীর করার চেষ্টায়। তালুক বেচে মাথার চুল ছিড়ব, চিরদুর্ভিক্ষের দেশে তবু চালিয়ে যাব। তিনদিনের অন্নসত্ৰ। জিদটার আরেক চেহারা হল জ্ঞানের অহঙ্কার। আমি যেটুকু জেনেছি সেটুকুই চরম জ্ঞান। আমরা সবাই জানি অল্পবিদ্যাভয়ঙ্করী, কিন্তু কেন ভয়ঙ্করী তা জানি না । মানুষের জ্ঞানবিজ্ঞান বাড়িয়ে চলার সাধনায় চিরদিন সব চেয়ে বড় বাধা হয়ে থেকেছে৷ আমিত্বের অহঙ্কার। আমি যেটুকু জানি সেটা জানাই যথেষ্ট-এই অহঙ্কার। সকলের দিকে চেয়ে কয়েক মুহুর্ত জিজ্ঞাসু চোখে চেয়ে থেকে জগদীশ আমোদের হাসিতে শাব্দিত হয়ে ওঠে । : ভাবিছ তো আমি মানুষের নিন্দা করছি ? দোষ দেখাচ্ছি ? Q R o