পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভগবানকে ডাকছে-এই বাস্তব সত্যটাকে বিজ্ঞান উড়িয়ে দেবে কেন ? বরেনের মুখে হাসি ফোটে। ঃ এবার বুঝেছি! কুঁড়েতে ফিরতে সন্ধা পার হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু নেশা সুরু করার জন্য আজ যেন তেমন ব্যাকুলত নেই। ধীরে সুস্থে সে নেশা সুরু করে। তাল্পি এটা ওটা জোগান দিয়ে যায়, তাকে জিজ্ঞাসা ক’রে রাত্রের খাবার তৈরী করে। রাত্রে জগদীশ খাবে কি খাবে না কিছুই ঠিক নেই-আধিকাংশ রাত্রেই সে কিছু খায় না। তাপ্লির পরিপুষ্ট সুগঠিত দেহটার দিকে চেয়ে আজ একটি প্রশ্ন জাগে জগদীশের মনে : নারীদেহের কামনা যে তার একেবারে শেষ হয়ে গেছে, কোন নারীদেহ স্পর্শ করার কথা কল্পনা করলেও গভীর বিতৃষ্ণায় সৰ্ব্বাঙ্গ যে তার কুকড়ে যেতে চায়, চিত্রার জন্য মনোবেদনাই কি তার একমাত্র কারণ ? এই যে কড়া বিষ সে পান করে চলেছে দিনের পর দিন, খাদ্যের জন্য খিদে পৰ্যন্ত যা নিস্তেজ করে দেয়- তার কি কোন প্রভাব নেই তার কামনা ঝিমিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে ? টের পাওয়া যায় তাগ্নি আজ একটু অস্বস্তি বোধ করছে। ঠিক বটে, রাত হয়ে গেছে। সকাল থেকে তাল্পি তার সেবা করে সন্ধ্যার পর পর্যন্ত-ততক্ষণে নেশা চড়ে যায়। তাগ্নিকে সে হুকুম দেয়, এবার যা, ভাগ । Q R 8