পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার গলা জড়িয়ে ধ'রে তেইশ বছরের বন্ধু আমার কঁাদল ! যাবার সময় কঁাদল কিন্তু দু’বছরে চিঠি লিখলি মোটে তিনখান ! জগদীশকে চিনতাম, চিঠিপত্র লেখা তার ধাতসই নয়। জগদীশের বাবা ডেকে পাঠালেন। চিঠিপত্র পাও ? আজ্ঞে না। জানেন তো চিঠি লিখতে ওর কত আলস্য। ভাবনা হচ্ছে যে হে ! যে ছেলে ! বল্লাম, আজ্ঞে, এমনিই তো চিঠি পত্র লেখে না, তার ওপরে ঘুরে বেড়াচ্ছে! একটা টেলিগ্ৰাম করব। কিনা ভাবছি। কোথায় আছে তাও কি ঠিক জানি ছাই! চরকির মত ঘুরছেই তো খালি। বৃদ্ধ একটা নিশ্বাস ফেললেন । বছর চারেক পরে জগদীশ দেশে ফিরল। ফিরবার ইচ্ছা! বিশেষ ছিল না, বাপের কঠিন অসুখের খবর পেয়ে বাধ্য হয়েছে ফিরতে । তার আসার দিন পাঁচেক আগেই তার বাবা মারা গেছেন । শ্ৰাদ্ধের পর মাস তিনেক বাড়ী থেকে কলকাতায় চ’লে গেল । তারপর দশ বছর আর সাড়া শব্দ নেই। মাঝখানে কেবল খবর শুনলাম, সে তার সর্বস্ব দান করেছে। অদ্ভুত দান ! বাড়িঘর বিষয়-সম্পত্তি যা ছিল সব বিক্ৰি ক’রে একটা ফাণ্ড করে দিয়েছে বাংলা থেকে প্ৰতি বৎসর দুটি মেয়েকে মিউজিক শিখবার জন্য বিলাতে পাঠাতে । যে বছর বাঙ্গালী মেয়ে পাওয়া SV)