পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঝাপ সে দিতে পারে অনায়াসেই। মরণ তার কাছে তুচ্ছ হয়ে গেছে। জীবন-মরণের ছেলেখেলার মতই। কিন্তু কোন মানে হবে কি এভাবে মরার ? মরে গেলে সব ফুরিয়ে যায়, চুকে যায় বাচা-মিরার হিসাবনিকাশ, শূন্যে মিশিয়ে যাবার পর জল বায়ু আকাশ পৃথিবীতে মিশে যাবার পর জগতে ঘটে চলবে প্ৰকৃতি আর জীবনের ইতিহাস, মানুষ আর প্রকৃতির একটানা লড়াই, কিন্তু অসংখ্য মৃতের মত সেও মিলিয়ে থাকবে চেতনাহীন মহাশূন্যে । জীবন থাকবে পৃথিবীতে । প্ৰপাতের জলস্রোতে ঝাপ দিলে কয়েক মিনিটে সে চিত্রার মতই মিলিয়ে যাবে ওই আদিম উপকরণে । এখনো সে জীবন্ত । চিত্রা মরেছে। মরণের চেয়ে বড় সত্য জীবনের জানা নেই। মরব জেনেই বাচা । মরে মরে মর্যাকে জয় করে বাচাই জীবনের ধর্ম । যত ভক্ত আসে যায়, এসেছে গিয়েছে, তাদের স্মরণ করে মাথায় হাত দিয়ে জগদীশ সেই পাথরে বসে পড়ে যে পাথর থেকে হঠাৎ তাকে দেখে দু’পা পিছু হঠতে গিয়ে চিত্রা শূন্যে মিলিয়ে গিয়েছিল । নেশার ঝোঁকে ঝাঁপ দিয়ে পড়ে মরে চিত্রার সঙ্গে শক্তি জলবায়ু মাটিতে একাকার হতে চেয়েও জগদীশ ভুলতে পারে না সে জীবন্ত । Σ 8 Σ