পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মরণকে জয় করে চলাই হল জীবন। জীবন আর কিছুই নয়। সে জীবন্ত । এই জলপ্রপাতে ঝাপ দিয়ে সে মরণজয়ী জীবনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে ? মৃত্যুর হিসাবে পাপ পূণ্য সমান, বিশ্বাস রাখা আর বিশ্বাসঘাতকতাও সমান। দুই বিপরীতের সংঘাতই জীবন, জগতে মরণ বঁাচন । সে জীবন্ত । বঁাচার চেষ্টাই তার চরম সার্থকতা-পিপড়ে থেকে মানুষের বঁাচার চেষ্টাই একমাত্র ধর্ম। জীবাণু বীজাণুও যে জীবন জগদীশ তা জানত। কিন্তু সে ভাবে অনুবীক্ষণে দেখা এই সূক্ষ্ম জীবনগুলিই কি শেষ কথা ? এর চেয়ে সূক্ষ্মতর জীবন যে নেই তার প্রমাণ কি ? জীবন যেমন হোক, জীবনের স্কুল আর সূক্ষ্ম দিক খানিক খানিক জেনেছিল বলেই জগদীশ কিছুতেই সেদিন জলপ্রপাতেক উপরের পাথর থেকে নীচে ঝাপিয়ে পড়ে চিত্রার সঙ্গে একাকার হয়ে ব্যথার পূজা সাঙ্গ করতে পারে নি। S 8R