পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কে জানে জগদীশ কিছু শুনছে। কিনা, তাদের দিকে চাইছে কি না ! মশগুল হয়ে অন্য কথা ভাবতে ভাবতেই সে যেন বিলাতী মদের বোতলটার পাশে সাজানো তাড়ির হাড়িটা টেনে নিয়ে হাড়ির কাণায় মুখ দিয়ে পান করে। তালের গেজানো রসে তার বুক ভেসে যায়। একনজর তাকিয়ে দেখে রত্নাকর বলে যায়, বাবা কি জানেন না বিষের মজা ? নিজেই তাই পাহারা বসিয়েছেন । বিষের ঝোকে খারাপ কিছু করতে গেলে যেভাবে পারি ঠেকাবার হুকুম দিয়েছেন ! বলেছেন কি জানো ? বলেছেন, দরকার হলে মেরে ফেলবি ! হেট করা মাথাটা নীরবে জগদীশের পায়েৱ কাছে মাটিতে ঠেকিয়ে ললিতা নীরবে উঠে দাড়ায়। সে কিছু বলে না, তবু রত্নাকর সঙ্গে গিয়ে তাকে রাস্তায় গাড়ী পৰ্যন্ত পৌছে দিয়ে আসে। ঃ রত্নাকর । মাতাল হয়েছি ? ঃ মাতাল ? এই তো সবে সুরু করলে-এইটুকু খেয়ে মাতাল হবে তুমি ? পািড় মাতালদের অবিশ্যি এক একদিন একটুখানি খেয়েই ক্ষেপে যেতে দেখেছি।-ওটা ব্যারাম। রোগটার কি যেন নাম বলে ডাক্তাররা-হঠাৎ হয়। দিব্যি কথা কইছি, মাতাল হতে যাবে কেন ? Ꮌ (Ꮹ Ꭹ