পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হাত ধ’রে ভেতরে নিয়ে গেল। ছোট ঘর, হাত দশেক লম্বা, * হাত আষ্টেক চওড়া। এককোণে কয়েকটা হাড়ি কলসী। একপাশে উনুন, তার কাছে মাটির বেদীর ওপর কালিমাখা গুটি দুই হাড়ি । একদিকে খাবার জলের কলসীর কাছে একটা এলুমিনামের গেলাস ছাড়া সমস্ত ঘরে ধাতব বাসন আর চোখে পড়ল না। অন্য পাশে খড়ের গদীতে চাটাই বিছানো,- জগদীশের রাজ-শয্যা ! বালিশ নেই, বাড়তি এবং ছোড়া কাপড় মাথার কাছে পুটলি করা আছে। এমনি সব আসবাবের মাঝে নিতান্ত খাপছাড়া একটি অপূর্ব আসবাব চোখে পড়ল। বিছানার পাশে, সিস্কের রুমাল ঢাকা দামী মেহগনি কাঠের ছোট্ট একটি জলচৌকী" । তার ওপরে একটি চওড়া পাড় শাড়ী । শাড়ীটির জায়গায় জায়গায় লালচে দাগ, বিবর্ণ হ’য়ে উঠেছে। ওটা কি রে ? যেন নিতান্ত বিস্মিত হয়েছে এমনিভাবে আমার মুখের দিকে চেয়ে ব্যথিত স্বরে জগদীশ বল্লে, অমন ক’রে বলছিস যে ? বুঝতে পারছিস না ? আমার স্ত্রীর কাপড়। স্ত্রীর কাপড় ! জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তার মুখের দিকে চাইলাম। স্বপ্নের জড়তা কাটাতে মানুষ যেমন নিজের মাথায় ঝাকুনি দেয় তেমনি ভাবে মাথায় ঝাকুনি দিয়ে জগদীশ যেন নিজেকে প্ৰকৃতিস্থ করে নিল। লজ্জিত কণ্ঠে বলল, তুই যে জানিস না খেয়াল ছিল না ভাই। সব বলব, তখন বুঝবি। তোর কাছে পয়সা আছে ? S