পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যাগটা বার ক’রে তার হাতে দিলাম। একটা সিকি বার করে জগদীশ ডাকল, জিরাই। দরজার কাছে পাঁচ সাতজন লোক বসেছিল, একজন সাড়া দিল, আজ্ঞে বাবা ? কিছু দুধ আর কলা যোগাড় করে নিয়ে আসতে হবে যে, বাবা । আমি হঁ ক’রে জগদীশের মুখের দিকে চেয়ে রইলাম। এ কী কণ্ঠস্বর ! এ কী বলবাব ভঙ্গি ! ঠিক যেন প্ৰবীণা গৃহিণী । পরের ছেলেকে কাজে পাঠাবার সময় এমনি অনুকরণীয় কণ্ঠে তারাই অনুরোধ জানান বটে ! সংসারের ছোট বড় ঝঞ্চাটে ব্যতিব্যস্ত হ’য়ে ওঠে যারা, অথচ যাদের জীবনের সমস্তটুকুই নিহিত আছে ওই বান্ধাট ভোগ করার মাঝে, তাদেরই শান্তি আর ক্লান্তির ছায়াপাতে অপূর্ব মুখচ্ছবির এ কি অবিকল। প্ৰতিলিপি আমার এই বাল্যবন্ধুটির মুখে ফুটে উঠল! ক্ষুধায় নাড়ী জ্বলছিল, দুধ কলা আর মোটা চিড়ার ফলার অমৃতের মত লাগল। বাইরে ছোট বারান্দার মত ছিল, জলযোগের পর সেইখানে গিয়ে বসলাম । তারপর দুজনের যে সাধারণ খবরাখবর আদান প্ৰদান এবং সুখ দুঃখের গল্প চলল তার সঙ্গে এ কাহিনীর সম্বন্ধ নেই। সন্ধ্যার অন্ধকার ঘনিয়ে এল। শীতের সন্ধ্যা, তবু আমার মনে হল এ সন্ধ্যারও যেন একটা নিজস্ব মাধুৰ্য্য আছে। আর "לפי