পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বয়সে বেশ্যাবাড়ীতে গিয়ে ঠাই নিতম-মদ বেশ্য সার করে নরকে যেতম ৷ পরম ভক্ত প্ৰতাপ তার কথা বলার ধাচ আয়ত্ত করেছে, ‘মনের চিন্তা হৃদয়ের ভাব মিলিয়ে মিশিয়ে কথা বলার ষ্টাইল বেশ খানিকটা অনুকরণ করতে শিখেছে। জগদীশ বলে, তুমি কিন্তু আমার সঙ্গে ছলনা করেছিলে প্ৰতাপ। তোমার সোনার ছেলে আলোক আর ললিতার মধ্যে যে মিল নেই এটা গোপন করেছিলে । হাত বাড়িয়ে জগদীশের পা ছুয়ে প্ৰতাপ বলে, বিশ্বাস কর বাবা, ছলনা করি নি। আমি কিছুই বুঝি না। ওদের ব্যাপার। কি বলতে কি বলে ফেলব, উল্টো কথা মিছে কথা বলে বসবএই ভয়ে চুপ করে থেকেছি। চিরকাল সংসারে দেখলাম মিল না। থাকলে স্বামী-স্ত্রীতে নানারকম ঝগড়া হয়, অশান্তির সীমা থাকে না। কোনদিন ওদের মধ্যে মনোমালিন্যের চিহ্নটুকু দেখি না। 'ঃ সোজা হয়ে বসে প্ৰতাপ । বারবার পায়ে হাত দিও না। অতিভক্তি যে চোরের লক্ষণ তা তো জানো ? প্ৰতাপ আহত হয়ে সোজা হয়ে বসে । জগদীশ বলে, চোখ থাকতে অন্ধ, কি করে দেখতে পাবে সোনার ছেলে আর সোনার বৌমার মধ্যে মনোমালিন্যের চিহ্ন ? তোমার সেবা করার জন্য ললিতা স্বামীর কাছে না থেকে তোমার কাছে থাকে, তোমার বিষয়কম ব্যবসায়ের খুত ধরে লাভ বাড়ায়, কি করে তোমার চোখে পড়বে ওদের মনোমালিন্য ? brV)