পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/১৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ বারের মত যার চরণ সার করলাম, তিনিও কি শেষ পৰ্যন্ত আমায় ঠকাবেন ? দিব্য দৃষ্টি আছে জেনে যার কাছে এলাম, তাকেও জানাতে হবে সব খুটিনাটি বিবরণ, তবে তিনি আমার অশান্তি দূর করবেন! মাথা হেঁট করে প্রতাপ দেশলাইয়ের পোড়া কাঠিটা দিয়ে গোবর-লেপা মেঝেতে খানিকক্ষণ অ্যাচড় কাটে ! তারপর ধীরে ধীরে হলেও জোরের সঙ্গে বলে, সব দেখেছি বাবা । এতো কোন সূক্ষ্ম-দৰ্শন নয় যে বোকা-হাব আমি মোটা চোখে দেখতে পাব না। আলোক ছুটি নিয়ে বাড়ী এলেই দু’চার দিনের মধ্যে কীেমা ছুতো করে বাপের বাড়ী চলে যায়। একবার ছুতো হল তার বাপের অসুখ একবার তার দিদিমার শ্ৰাদ্ধজগদীশ শান্তভাবে বলে, এই তো প্ৰায় বুঝে গিয়েছ ব্যাপারটা প্ৰতাপ। আরেকটু বুঝতে তোমার সাহস হয় না কেন ? ভয় পাও কেন ? কিন্তু সব বাপ তো এরকম করে না । যাব যাব বলে-কিন্তু নিজেই শেষ পৰ্যন্ত আর যায় না। বেশ হাসিখুশি ভাবেই থাকে। তাইতে ঠিক বুঝি না বাপ।। ১ ঃ তোমার ছেলের তো বোঝা উচিত ? প্ৰতাপ চুপ করে থাকে। ঃ মানুষ পাগলের মত টাকা চায় কেন প্ৰতাপ ? বালিশের নীচে কোটি টাকার নোট রেখে, টাকা চিবিয়ে খেয়ে কি কোন সুখ হয় মানুষের ? টাকা দিয়ে সুখ কিনতে SR-CAO) br (