পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সে চুপ করে থাকে। জগদীশ ধীরে ধীরে বলে, আমার চেয়ে তুমি মহাপুরুষ । তোমার পেটে অনেক বেশী বিদ্যা। নিজের স্ত্রীর দেহের খুত ধরতে পার না ? চিকিৎসা করাতে পার না ? ললিতা আমার মেয়ের মত-তবু সত্যিকারের মেয়ে নয়, তাই আজ বেঁচে গেলে । তুমি সত্যিকারের জামাই হলে আজ এই মদের বোতল দিয়ে তোমার মাথা ফাটিয়ে দিতাম । সিগারে টান দিয়ে ধোয়া ছেড়ে আলোক বলে, কেন ডেকে পাঠিয়েছেন মোটামুটি অনুমান করেছিলাম। বিরক্ত হয়েছি সেইজন্যই । জানেন না বোঝেন না, সব ব্যাপারে। আপনার মাথা গলানো কেন ? আবার সিগারে টান দিয়ে বলে, আপনার মেয়ের দেহে খুত ? অনেক স্পেসালিষ্ট ডাক্তার দেখিয়েও ধরা যায় নি কোথায় কি খুত। তার মানেই খুতিটা ওর মনে । মানসিক চিকিৎসা করাব বলেই তিন মাসের ছুটি নিয়ে এসেছি। সেদিন রাত্রে এক ললিতা আপনার কাছে এসেছিল, আমি কি জানি না ভেবেছেন ? বাড়ীর কারো নজর এড়িয়ে চুপি চুপি স্বয়ং ভগবানকে দেখতে যাবার সাধ্য আছে কোন মেয়ে বৌয়ের ? ওর দেহে কোন খুত নেই। ওর অসুখটা মানসিক । সুদৰ্শনাও এই কথা বলেছিল--জগদীশ বিশ্বাস করতে পারে নি। ললিতার মধ্যে এরকম একটা মানসিক রোগ বাসা বোধে আছে, নিজের সুস্থ সবল নিখুত দেহটার একটা কাল্পনিক খুত SdN)