পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রত্নাকর সোৎসাহে বলে, দাদা, বলিনি তোমায়, সংসার কাউকে ছাড়ে না, নিজের দরকারে ছুটি দেয় ! হাড়ে হাড়ে এটা আমি টের পেয়েছি। সংসার বলে, তুমি পাগলাটে, মানিয়ে চলতে পারিছ না-যাও, খুশিমত মন্দির থেকে আস্তাকুড় ঘটবে যাও, খুশিমত চিন্তা করবে যাও, তোমার ছুটি মঞ্জুর। আমরাও জানতে বুঝতে চাই-কিন্তু আমাদের সময় কুই, সুযোগ কই ? যখন কিছু জানতে বুঝতে পারবে, আমাদের জানিয়ে বুঝিয়ে দিও ! জগদীশ হাসিমুখে সায় দিয়ে বলে, এবার বুঝলি তো আমার চেয়ে নতুন চিন্তা তুই বাড়িয়েছিস ঢের বেশী ? ঃ এলোমেলো নতুন চিন্তা নতুন অভিজ্ঞতার পাহাড় দিয়ে কি হয় ? ঃ শুধু জমানো চিন্তার জট ছাড়িয়ে নিলেই বা কি হয় ? সুদৰ্শনা ঠিক ধরতে পারছে না। বুঝে জগদীশ বলে, চিন্তার জন্ট খুললাম--তারপর ? থেমে তো গেলাম। সেইখানে। আমিও থেমে গিয়ে পাগল হতে বসেছিলাম -তোমরা এসে পাকড়াও না করলে নিজনে আপন মনে আত্মচিন্তার শেষ কি দাড়াত কে জানে ? তোমরা এলে, নতুন চিন্তা এল, তবেই না আরেকটু বেশী বুঝবার প্রক্রিয়া আবার চালু হল ! জানাটা আলো জ্বালিয়ে রাখার মত-জেলে যেতে হবে, আলো নেভালেই অন্ধকার । জগদীশ জোর দিয়ে বলে, নাঃ, আত্মচিন্তার জন্য বনে এসে SO-(V5 R o D