পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/২০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগদীশ মাথা নাড়ে।-জেলাসি তোমার কাছে একটা ভয়ঙ্কর ব্যাপার তুমি জেনে রেখেছ, জেলাসি মানুষকে দিয়ে সব করাতে পারে-হঠাৎ থেমে গিয়ে জগদীশ বলে, পরে আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করব, কেমন ? রত্নাকর সুদৰ্শনার দিকে চেয়ে বলে, এখুনি বল না। দাদা-পরে কেন ? তোমার সোনাকে আমার কীর্তির কথা জানাতে কি বাকি রেখেছি ? তবে আর কি শিখলাম তোমার কাছে ! অন্যকে বলি না বলি এসে যায় না- ওর কাছে গোপন করতে পারি। সেসব কথা । জগদীশ খুশি হয়ে বলে, আবার দেখলি তো, আমি সবজান্ত নই, ভুল করছিলাম ? সোনাকে সব যদি বলেই থাকিস, তবে তো তোদের চরম বোঝাপড়া হয়ে গেছে ! যতই ঝগড়া করিস, তোদের মনের মিল কে ঠেকায় ? আর আমি তোকে বকব • ड• ! রত্নাকর হেসে বলে, না না, মাঝে মাঝে বোকো-নইলে জমবে না। কিন্তু চাপা জেলাসি হঠাৎ জ্বলে উঠে আমার মত জলধির মাথা খারাপ করে দিয়েছে, এটা ঠিক নয় ?

না, শুধু জেলাসি অতটা চড়ে না, এরকম বিকার এনে দেয় না। জেলাসি হিংসা নয়, ওতে লড়াই করার জিদ থাকে, আরেকজনকে হার মানিয়ে হটিয়ে দিয়ে জয়ী হবার ঝোক থাকে। জেলাসি খারাপ নয়, অনিয়ম নয়। জেলাসি ছাড়া প্ৰেম জমে না । প্ৰেম না জমলে জীবনের ধারা চালু রাখার ঝনঝাট

c \d