পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাজের বেলা আমায় বাদ দিয়ে প্ৰতাপকে খাতির করা কেন ? আমি কি ভেসে এসেছি ? ঃ ভেসে আসিস নি ? সাত আট বছর এদিক ওদিক ভাসতে ভাসতে এখানে এসে ঠেকিস নি ? কি করে তোকে বোঝাব বল ! তুই কি বুঝতে চাইছিস ; সুদৰ্শন উস্কে দিয়েছে, তুই আবদার ধরেছিস, জিদ করছিস । রত্নাকর একটু নুয়ে যায় । ঃ সত্যি সত্যি সর্বজ্ঞ হয়ে গেছ নাকি ? ঃ সৰ্ব্বজ্ঞ হতে হয় ? চোখের সামনে দেখছি না তোদের ব্যাপার-স্যাপার ? জগদীশ হাসে । : ছিলি ভবঘুরে, হয়েছিস আমার কুঁড়ে ঘর আর আটচালাটার দরোয়ান । দু’জনে একটা হেস্ত নেস্ত করে ফেলতে সাহস পাচ্ছিস না-কেবলি হিসেবনিকেশ ঝগড়া আর পরামর্শ চালিয়ে যাচ্ছিস । রত্নাকর খানিক চুপ করে থেকে সোজাসুজি অবুঝ আব্দারের সুরেই বলে, কাজটা সোজাসুজি আমায় দিলে দোষ কি হয়, সোজা করে বুঝিয়ে দাও না ! লেখাপড়া শিখেছি, কবিতার বই লিখেছি, বোকা-হাবা তো নাই ! জগদীশ এবার গম্ভীর হয়ে বলে, তবু তুই পারবি না। প্ৰতাপ যেখানে কায়দা করে। পাচ কষে চাপ দিয়ে ভয় দেখিয়ে লোভ দেখিয়ে কাজ আদায় করবে-তুই সেখানে সোজাসুজি RR Nie