পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/২২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দু’লাখের ব্যাপারে নামছি, তোদের হিল্পে হবে বলেছি-আমনি * বুঝি ঠাউরে নিয়েছিস রাজারাণীর হালে থাকার হিল্পে হল ? রত্নাকর মুখ খুলতে যাবে, সুদর্শনা ধমক দিয়ে বলে, চুপ! হেসে জগদীশকে বলে, যেমন ভাবেই বলুন, আমরা আর চটব না। আমরা বুঝে গিয়েছি। আমরা আপনাকে সাধু মনে করি ভাবেন বুঝি ? কোনদিন ভাবিনি। শুধু কথা, বলতেন, তেমন যেন ভাল লাগত না। যেমন হোক কাজে নামছেন, আমরা আমনি মজা পেয়েছি । দু’জনে কোমর বোধে খাটিব, -কে কি করব পরামর্শ করছি কি না, তাই আর ঝগড়া হচ্ছে না । জগদীশ হাত বাড়িয়ে সুদৰ্শনার গালটা টিপে দেয় । ঃ এত উপদেশ না ঝেড়ে আরাম-বিলাস চাইবি না বললেই চুকে যেত । গালি-টেপা হাতটাকে সরে যেতে না দিয়ে দু’হাতে চেপে ধরে রেখে ছোট মেয়ের মতই ঠোঁট ফুলিয়ে সুদৰ্শন বলে, আরামবিলাস চাইব না। মানে ? নিশ্চয় চাইব। আরাম-বিলাসের ব্যবস্থা ছাড়া নিজেদের সভ্য মানুষ ভাবব কি করে ? শুধু রাজা-মহারাজারাই আরাম-বিলাস ভোগ করবে, আমরা ভেসে এসেছি ? তবে তোমার কাজ যদিন না। উদ্ধার হয় তদিন আমরা নেংটি পরে ইলুবীজ খেয়ে দিন কাটাতে রাজী আছি। জগদীশ রত্নাকরের দিকে তাকায়। হাত তার বন্দী হয়ে আছে মেয়ের মত সুদর্শনার দুটি পেলাব মেয়েলি হাতের মুঠোয়। RRG)