পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিৰ্ম্মাদার বিপুল জলরাশির বিপুলতম পতনের সৌন্দৰ্য্য দেখে এসেছি। আজ বুঝলাম বিপুলতাই সব নয়, সৌন্দৰ্য্য ক্ষুদ্র বৃহতের অপেক্ষা রাখে না। নৰ্ম্মদ সুন্দর, কিন্তু এই যে গুচ্ছ গুচ্ছ সৌন্দৰ্য্যের ফুল ফুটে আছে। এখানে শ্যামসুন্দর রূপ তরুর শাখায়, এরও তো তুলনা বোধ হয় নেই! চেয়ে থাকতে থাকতে হঠাৎ মনে হ’ল, ওস্তাদ শিল্পী বটে । এ যেন ছবির মাঝে চাঞ্চল জীবনের প্রকাশ । পাথর নড়ে না, পাহাড় নড়ে না, চতুর্দিকের তরুশ্রেণীর শাখায় বাতাসের বেগে যে দোলা জাগে তাও চোখে ধরা পাড়ে না, সব যেন তুলি দিয়ে আাকা নিশ্চল ছবি। তার মাঝে এই পাহাড়ী ঝরণা জীবন্ত, এর প্ৰাণ আছে, এ চঞ্চল। প্ৰতি মুহুর্তে বিরামহীন গতিতে চারশে ফিট নীচে লাফিয়ে পড়ে নিজেকে চূর্ণ করে শুভ্র কুহেলির জাল বুনে সূৰ্যকিরণের রশ্মি-বিশ্লেষণে অপূর্ব শোভা शूझि फूल्ल८छ् ! পাশ দিয়ে ঘুরে নীচে নােমলাম। নীচে থেকে সবটুকু জলধারা দৃষ্টিগোচর হয়। মুগ্ধ হয়ে দেখলাম। সূক্ষ্ম জলকণা ঝরণার শ্ৰীতিসম্পর্শ জানিয়ে দিল । ওপরে যখন উঠলাম। তখন চারটে বেজে গেছে এবং হাফ ধরে গেছে । একপাশে প্ৰকাণ্ড একটি মসৃণ পাথর পড়েছিল। দেখলেই বোঝা যায় মানুষের হাত করেছে। বললাম, আয়, এই পাথরটাতে বসি । অগ্রসর হতেই জগদীশ আমার হাত চেপে ধ’রে বল্পে, না । O