পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘গো” আমি নিজেই করতাম ; সেই দিনই বাবার অসুখের সংবাদ পেয়েছিলাম । জগদীশ। কতক্ষণ নিঃশব্দ থেকে ধীরে ধীরে বলল, আজ আমার একমাত্র সান্তনা ভাই, আমার কথা তাদের মনে নেই। থাকেও না। তারা আমার যৌবনকে যে জাগরণে জাগিয়েছিল। সেই জাগরণই আমার জীবনকে অভিশপ্ত করে দিয়েছে। ওই দুটি নারী যদি প্ৰথম যৌবনে আমার অন্তরের ব্যাকুল কামনাকে আমন করে উত্তেজিত করে না তুলত। তবে হয়ত আজ আমার এমন করে জন্বলতে হত না । তারা আমায় ভুলেছে, তাদের যে ক্ষতি আমি করেছিলাম আমার ক্ষতির কাছে সে ক্ষতি তুচ্ছ হয়ে গেছে। তবু, বিদায় নেবার কালে তাদের অনুচ্চারিত অভিশাপবাণী আজও এক এক সময় আমার নিঃশ্বাস বন্ধ করে আনে। যাক। জাহাজেই তাকে দেখি । মন ভারি খারাপ ছিল। ডেক চেয়ারে কাত হয়ে চোখ বুজে নিজের অদৃষ্ট চিন্তা করছিলাম। চোখ মেলেই দেখলাম, অদূরে রেলিঙের কাছে দাড়িয়ে আছে। সূৰ্য্য তখন পশ্চিমে হেলে পড়েছে, আর একটু নামলেই সাগরের জলে ডুবে যাবে। পড়ন্ত সূৰ্য্যের সোনালী আভা তার মুখে এসে পড়েছে। চোখে আমার কি ভালই যে লাগল, পলক পৰ্য্যন্ত বন্ধ হয়ে গেল। আমার সমগ্ৰ সত্তা মুগ্ধ হয়ে অপরিচিত মেয়েটির অপরূপ সৌন্দৰ্য্যের দিকে চেয়ে রইল। R