পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জন্য দুদণ্ড আমার সঙ্গে গল্প করতে পারছেন না বলে যে ভারি দুঃখিত হয়েছেন বার বার একথা প্ৰকাশ করতে করতে ঘরে ঢুকে মিঃ সেন নথিপত্রে ডুব দিলেন। আর একটা কাজ করলেন, পরদিন আমাকে ডিনারে নেমন্তান্ন। ডুইংরুমে ফিরবার পথে বললাম, আপনার বাবার সহজ ব্যবহার আমার এমন ভাল লাগে মিস সেন ! চিত্রা বললে, বাবা ঐরকম, যাকে স্নেহ করেন তার সঙ্গে ব্যবহারে এক বিন্দু। এটিকেট মেনে চলেন না। স্নেহ করেন! কথাটায় অত্যন্ত খুসী হ’য়ে উঠলাম। সকলের মিলিত অনুরোধে চিত্রা গান ধরল। নতুন শিখে আসা ইংরাজী গান, মিষ্টি করুণ সুর। গান শেষ হলে সকলে এমন সকলরব প্ৰশংসা আরম্ভ করে দিলেন যে আমার অন্তরের সুর-প্ৰেমিক লজ্জায় মাথা হেট করল । জলধি রায় কেবল দেখলাম নীরব প্ৰশংসায় গানের প্রকৃত মৰ্য্যাদা দিলেন। আরও একটা জিনিষ দেখলাম, লোকটির চেহারা। বাঙ্গালী যুবকের যে গ্ৰীক ভাস্করের খোদাই করা মূর্তির মত আমন চেহারা থাকতে পারে, না দেখলে বিশ্বাস করা শক্ত। বড় বড় দুটি চোখে অন্তরের কবি প্ৰাণ উকি মারছে। খন্দরের পাঞ্জাবী আর চাদর মাত্র, তার পরিধানে, কিন্তু মনে হয় লোকটা কত যত্নেই না বেশভূষা করেছে! স্বাস্থ্যপূর্ণ দেহ, ঠোঁটের কোণে কৌতুকের হাসি। মাথার চুলে পৰ্যন্ত 8 R