পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবৰ্ণ হয়ে গেল। কেন যে গেল। সে মনস্তত্ত্বের বিশ্লেষণ করবার ইচ্ছা বা শক্তি দুয়েরই তখন অভাব। এখন সে চেষ্টা করতেও ব্যথা বোধ হয় । ডিনারের পর মিনিট দশেক বসেই টের পেলাম। এবার চিত্রার মা বাবা দুজনেই অন্য ঘরে গিয়ে আমাদের নিরিবিলি কথা বলার সুযোগ দেবেন। কাজের ছুত ক’রে উঠে পড়লাম। বিদায় নেবার সময় বললাম, যেখানেই থাকি, মিস সেনের শুভ পরিণয়ের সংবাদ পেলেই ছুটে আসব। চিত্রার বিবৰ্ণ মুখ একবার আরক্ত হয়েই ফ্যাকাসে হয়ে গেল। পুৱী পৌছে বন্ধুর কাছে যাবার পথে মন্দির পড়ল। চৌমাথায় গাড়ী যেতেই নেমে পড়লাম। মন্দিরে উঠে আভ্যন্তরের আবছা আলো আর প্রদীপের অন্ধকারের দিকে চেয়ে দশ বছর বয়সের পর কখনো যা করিনি। হঠাৎ তাই করে বসলাম। একেবারে ভূমিষ্ঠ প্ৰণাম করে মনে মনে বললাম, তোমার প্রতি আমার ভক্তির যে নিতান্তই অভাব সেকথা তুমিও জান আমিও জানি । শতাব্দীর পর শতাব্দী লক্ষ লক্ষ অন্তরের ভক্তি শ্রদ্ধা তো পেয়েছ, আমার একটুখানি ভক্তি দিয়ে তুমি কি করবে ? যদি পার নিঃস্বাৰ্থ ভাবেই এইটুকু দয়া কোরো ঠাকুর, তোমার সৃষ্ট এই অগ্নিশিখাগুলিকে আমার নয়ন পথের অন্তরালেই ○び*|| উঠে দাড়াতেই এক পাণ্ডা গলায় ফুলের মালা পরিয়ে দিয়ে বলল, মনস্কামনা পূর্ণ হবে বাবু। SS