পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিশ্ৰী লাগিছিল! ঠিক সময়েই আপনি এসেছেন জগদীশ বাবু। খুশি হয়ে বললাম, বাইরে চল, জ্যোৎস্নায় বসা যাবে। ভারি সুন্দর জ্যোৎস্না উঠেছে। আজ বোধ হয় পূর্ণিমা। মাথা নেড়ে চিত্রা বলল, পূর্ণিমা নয় চতুৰ্দশী, এক কলা এখনো বাকী আছে। যেতে তো ইচ্ছে করছে, কি করে যাই ? সেও একটা কথা বটে। থাক পায়ে আবার লাগবে। ডান হাতটি নিঃসঙ্কোচে বাড়িয়ে দিয়ে চিত্রা বলল, ধরুন, ঠাঁটতে পারি কি না দেখা যাক। এইটুকু তো। হাত ধরে সন্তৰ্পণে চিত্রাকে দাড় করলাম। বা পায়ের ওপর ভর দেবার চেষ্টা করে বললে, উহু, লাগছে। আর একটু সরে আসুন, ভাল করে ধরি। স্পন্দিত বক্ষে কাছে সরে গেলাম। চিত্রার শাড়ীর প্রান্ত আমার অঙ্গ স্পর্শ করল। তার কেশের সুবাস আমার চিত্তকে আচ্ছন্ন করে দিল। ডান হাতখানা আমার কঁধে রেখে শরীরের সবটুকু ভর আমার ওপরে দিয়ে চিত্রা বলল, চলুন। চলাব ? কোথা চলাব ? পায়ের নীচে তো মাটি ছিল না । বিশ্ব তখন লুপ্ত হয়ে গেছে, দেহের সমস্ত রক্ত মাথায় উঠে পাগলের মত নৃত্য সুরু করে দিয়েছে। অতীত এবং ভবিষ্যৎ নিঃশেষে মুছে গিয়ে কালের মহাশূন্যে কেবল বর্তমানের ক্ষণটি দুলছে। যুগযুগান্তরের সঞ্চিত কামনার উষ্ণ নিশ্বাসে উদভ্ৰান্ত সেই ক্ষণটি যেন আমার জন্মজন্মান্তরের সম্পদ,-অতীতকে মুছে নিয়ে, অসহ দুৰ্গতিময় তৃষ্ণ-যবনিকার অন্তরালে ভবিষ্যৎকে 9 QV (