পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কী বিরাট পরিবার ! চার ছেলে। বড় তিন ছেলের তেইশটি ছেলে মেয়ে। সাতটি নাতিনাতনী। বাচ্চ কাচ্চ সমেত আশ্রিত আত্মীয় আত্মীয়ার সংখ্যা এগার । জলপ্রপাত না দেখে এরা অবশ্য ফিরে যাবে না। তবু মনে হয়, বাঙালী যুবক সাধুবাবাকে প্ৰণাম জানাতেই যেন তারা এসেছে, হুড়, জলপ্রপাতটা দেখা কলা বেচে যাওয়ার মতই আনুসঙ্গিক ব্যাপার। সত্তর পেরিয়েছে প্ৰতাপের বয়স । ভ্ৰী পৰ্য্যন্ত পেকে সাদা হয়ে গেছে। কিন্তু টের পাওয়া যায় আজও প্ৰতাপ বিষয়বুদ্ধি কম শক্তি আর সমগ্র পরিবারটির উপর প্রতাপ হারায় নি। সকলে চুপ করে দাড়িয়ে থাকে। প্ৰতাপ কঁাধের উড়ানীটা গলায় জড়িয়ে সাষ্টাঙ্গে প্ৰণাম জানায় জগদীশকে। সোনার একটা মোহর অর্থাৎ সেকালের একটা গিনি তার পায়ে ছুইয়ে প্ৰণাম করে । জগদীশ শান্ত কণ্ঠে বলে, গিনিটা ওই মাটির ভাঁড়ে ফেলে দাও । কেন যে তোমরা আমায় টাকা পয়সা দিয়ে প্ৰণাম করতে অ্যাস ! প্ৰতাপ গদগদ ভাষায় বলে, আপনি আমার শেষ সাধু, শেষ গুরু । আর কারো কাছে যাব না। আপনার উপদেশ শুনে যদি বুঝি উপায় নেই-ভেঙ্গে চুরমার করে দেব সংসারটা। Ե8