পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঃ তোমার প্রণামী তো আমি নেব না । ঃ কেন বাবা, কি অপরাধ হ’ল ? প্ৰণামীর জন্য তুমি সোনা এ নেছা! জানি না প্ৰণামী দিয়ে আমি কি করি ? হাভাতে হাঘিরে গরীবদের বিলিয়ে দিই । প্ৰতাপ কাতরভাবে বলে, কিন্তু সোণা দিলে কি দোষ হয় সেটা তো ঠিকঃ কাকে দেব সোনাটা ? সোনাটা ভাঙ্গাতে গেলে গরীব বেচারাকে চোর বলে পুলিশে ধরবে না ? কটা ছাপা কাগজ আনলেই হত, কজনকে দিতে পারতাম ! প্ৰতাপ হাত জোড় করে বলে, তাই নিন। দয়া করে-সোনাটাও থাক। এটা বংশের নিয়ম, গুরুকে সাধুকে ব্ৰাহ্মণকে সোনা ছাড়া প্ৰণাম করলে অভিশাপ লাগবে । নিয়মটা নাকি চালু করে গিয়েছে প্ৰতাপের পিতাঠাকুর। যা ধরত। তাই সোনা হয়ে যেত, গুরু। তাই হুকুম দিয়েছিল টাকা পয়সা শুধু ভিক্ষা দেওয়া চলবে।— গুরুকে সাধুকে ব্ৰাহ্মণকে বা মন্দিরে সোনা ঠেকিয়ে প্ৰণাম না করলে হয়ে যাবে সৰ্ব্বনাশ । * প্ৰতাপ।। ডাক দেয়, খুব মিষ্টি সুরে ডাক দেয়—ছোট বোমা, পাঁচ টাকার নোট দাও দিকি পাঁচখানা । রঙচঙে শাড়ী আর একরাশি গয়নায় জমকালো করে সাজা বিশ থেকে চল্লিশ পেরোণে বয়সের কয়েকজনের পিছনে ছিল ছোট বেী ললিতা। নিজেকে স্বেচ্ছায় খানিকটা আড়াল করেছিল। ومع حرب