ফলপ্রদ, এ দগ্ধ জগতে।” স্তব্ধ হয়ে
সহস্রাক্ষ, রহিলা ক্ষণেক এক ভাবে।
কতক্ষণে, জাগি যেন, দন্তোলি-নিক্ষেপী,
আরম্ভিলা লক্ষি দেবে মৃদু ক্ষীণ স্বরে।
"ঐ শুন দৈববাণী। যতক্ষণ, হায়,
বিরূপাক্ষ দেব পক্ষ হ'য়ে, এ বিপদ
ধ্বংস নাহি করেন সংহারী, অসহায়
তত কাল দেবকুল যত। তেঁই যাব
কৈলাসশিখরে। ভক্তিভাবে পূজি যোগী-
শ্বরে, নাশি দৈত্য, জাগাব মাহাত্ম্য, বীর্য্য,
যুগ যুগান্তরে।” এত কহি স্বরীশ্বর
স্মরিলা স্মরেরে। নিমেষে আইলা স্মর,
সাজি ফুল-সাজে; পৃষ্ঠে শর, শরাসন।
ঘনশ্বাস শ্বাসি, নাচিতে নাচিতে মহা-
রঙ্গে ভৃঙ্গসখা আসি উপজিলা, আশু।
মধুর সুহাসি খেলে মধুর অধরে,
শোভে ঘর্ম্মবিন্দু; মরি, সুন্দর ললাটে।
বন্দি ইন্দ্রে শিষ্টাচারে শির নোয়াইয়া,
কম্পিত ত্রিতন্ত্রী সম মধুর সঙ্গীতে
কহিলা বিলাসী হাসি, “কি হেতু স্মরণ?
কহ দেব কি আবদ্ধে স্মর মোরে আজি?
ধন্য হই, হে আরাধ্য, সাধি কার্য্য তব।
পাতা:ত্রিদিববিজয় কাব্য.djvu/১৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০
ত্রিদিববিজয়।