এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪
ত্রিদিববিজয়।
শ্বাস নাহি বহে; নিচল রসনা, মাতঃ,
বুঝি লও তুমি, ইন্দ্র কহিতে অক্ষম।
স্বর্গ মোর, সন্তাপিত দৈত্যের তাড়নে,
দেবকুল, নিপতিত অকূল সাগরে।”
শিশুর বাসনা যথা, কথা না ফুটিতে,
বুঝেন জননী সদা, স্নেহের আবেগে,
কথা না হইতে শেষ বুঝিলা ভবানী
বাসবের মনোভাব। কহিলা প্রকাশি:—
"আখণ্ডল! এই ভূমণ্ডলে দণ্ডে দণ্ডে,
পল, অনুপলে, ঘটে যে সকল, বৎস,
কর্ম্মায়ত্ত; সত্য তথ্য কহিনু তোমারে।
কিন্তু সে কর্ম্মের কর্ত্তা জীব। দেব, নরে,
বিশ্বচরাচরে, জীব সে স্বতঃই মুক্ত,
স্বতঃই স্বাধীন; উদাসীন সম, নহে
লিপ্ত, নহে বদ্ধ; মায়াচক্রে ক্রিয়াবান
সুধু। ক্রিয়াফলে জন্মে ভোগ; ভোগ, সেই
হেতু, অনিবার্য্য। কিন্তু, বৎস, যেই কর্ম্মী
সেই কর্ম্মে খণ্ডে তপোবলে, ভাগ্যধর
সেই লোকে, চিরকর্ম্মজয়ী। নহে দোষী
তোমা, বৎস। এই লোকে দোষ না পরশে।
পরম পিরীতি আজি পাইনু, বাসব,
ভল স্তবে। স্তরে স্তরে হৃদয়ের স্তর