২২ ত্ৰিদিববিজয় । শোভে রাজীবনিচয় । দেখিলা প্রকৃতি, ভেদি ধুম-আবরণ, পরম পুরুষে নিৰ্ব্বিকার। জটাজুট দিগন্ত ব্যাপিয়, পড়িয়াছে ঝুলি শিরে ; ধক ধক ধকে পাবক, জ্বলে বিশাল ললাটে । “ঐ দেখ, হাসিছেন দেব বিভাবস্থ, সুরেশ্বর, হেরিয়া তোমারে এ প্রদেশে ; ভাগ্যধর তুমি বৎস, ভেঁই সামুকুল তব প্রতি দেব তেজোময় আজি ।” এতেক কহিয়া মাতা দেখাইল দূরে, অঙ্গুলিনিৰ্দ্দেশে । কিন্তু এই বেশে, ইন্দ্ৰ নারিলা হেরিতে মহেশ্বরে । পরশিলা আঁখি দেবী ৷ তেই ইন্দ্র, ভাগ্যবান আজি, লভিলেন দিব্য দৃষ্টি । কহিলেন জড়সম, “ধন্য, মাত, করুণ। তোমার, হে করুণাময়ী ; তুমি যারে দয়া কর, সতি, কি অসাধ্য বিশ্ব চরাচরে, কি অসাধ্য হইবে তাহার দয়াময়ি ।” তখন মহেশজায়া পুরন্দর সহ, আরম্ভিলা মহাস্তুতি, নমি যোগীশ্বর মহেশ্বরে । হায় রে, কি শোভা, কি করুণ, কারে স্তবে কেবা ? কোন হেতু ?এ রহস্ত কে পারে বুঝিতে ? ভক্তিভাবে
পাতা:ত্রিদিববিজয় কাব্য.djvu/৩১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।