পাতা:ত্রিপুরার স্মৃতি.djvu/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিলালিপির ভাবার্থ ইন্দ্রপত্নী শচীর গর্তে যেরূপ জয়ন্ত জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, রাজেন্দ্র দিলীপ পত্নী সুদক্ষিণার গর্ভে যে প্রকার রঘুব্রাজ জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, তদ্রুপ ক্রীকল্যাণ মাণিক্য দেবের ইন্দুমতী তুল্য “সহরবর্তী” নামী মহিষীর গর্ভে “গোবিন্দ” ও “জগন্নাথ” নামক অতি তেজস্বী দেবতুল্য দুই কুমার জন্ম ধারণ করেন। ভ্রাতৃদ্বয় মধ্যে চন্দ্রবংশাবতংস সজ্জনা গ্রগণ্য নৃপাল গোবিন্দ মাণিক্য জ্যেষ্ঠ ছিলেন । তদীয় অনুজ বীরশ্রেষ্ঠ জগন্নাথ দেব—যুধিষ্ঠিরের আজ্ঞাবহ অর্জনের ন্যায় অগ্রঙ্গের আদেশ পালন করিতেন । কালক্রমে সেই রাজমহিষী মানবলীলা সংবরণ করিলে, পিতৃদেব কল্যাণ মাণিক্যের আজ্ঞানুসারে শ্ৰীশ্ৰীগোবিন মাণিক্য র্তাহার ভ্রাতা বীর মন্ত্রনানিপুণ ও তেজস্বী জগন্নাথ দেবের সহিত একত্র হইয়া মাতৃদেবী সহরবতীর স্বৰ্গকামনায় ১৫৮৩ শকাব্দের কান্তিকী পূর্ণিমাতে বিষ্ণুর উদ্দেশে এই প্রাসাদ উৎসর্গ করেন । এই জনপদে সংস্থাপিত দেবমূৰ্ত্তি নিচয়ুমধ্যে পূৰ্ব্ববর্ণিত ত্রিপুরান্বন্দরী দেবী ও মহাদেব ব্যতীত অধুন। কোন মন্দিরেই কোন বিগ্রহ বিদ্যমান নাই । চতুর্দশ দেবতা পুরাতন আগরতলায় আনিত হইয়াছে। এতদ্ব্যতিরেকে অপরাপর দেবমূৰ্ত্তি কোন স্থানে অপসারিত হইয়াছে ইহা বলিতে কেহই সক্ষম নহে । উদয়পুরের প্রধান রাজপ্রাসাদ গোমতী নদীর উত্তর তীরবর্তী অরণ্যাকীর্ণ এক উচ্চ ভূমিখণ্ডে এতদঞ্চলের সুপ্রসিদ্ধ রাজ নিকেতনের ভগ্নাবশেষ অবস্থিত । জনসাধারণ মধ্যে ইহ। গোবিন্দ মাণিক্যের প্রাসাদ বলিয়। প্রসিদ্ধি লাভ করিয়া থাকে । উক্ত ভগ্ন অট্টালিকা ও একটা মলির ব্যতিরেকে অধুন। এই স্থানে তার কিছুই নাই । কেবল কতিপয় স্তুপীকৃত ও বিকীর্ণ ইষ্টক রাশি ইহার পূর্ব গৌরবের নিদর্শন স্বরূপ বিদ্যমান রহিয়াছে । উল্লিখিত ভগ্ন প্রাসাদের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে যে একটী মন্দির সংস্থাপিত, তদগাত্রস্থ শিলালিপি হইতে জ্ঞাত হওয়া যায় যে গোবিন্দ মাণিক্যের পুত্ৰ ত্রিপুরেশ রাম মাণিক্য তদীয় পিতৃদেবের স্বৰ্গলাভ উদ্দেশ্বে ১৫৯৯ শকাঝে মন্দিরটা নিৰ্ম্মাণ পূর্বক তন্মধ্যে নারায়ণ বিগ্রহ প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন । ত্রিপুরার স্থতি 续缓